বাংলাদেশকে হারিয়ে মালদ্বীপ কোচ বললেন ‘ঐতিহাসিক জয়’
ম্যাচ-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলন কাভার করতে উপস্থিত হয়েছেন সাংবাদিকরা। কিন্তু খেলা শেষ হওয়ার প্রায় আধা ঘন্টা পর্যন্ত নেই দুই দলের কোনো কোচ। সংবাদ সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের আড্ডায় আলোচনা, 'বাংলাদেশ হোমে এবারই বোধ হয় প্রথম হারল মালদ্বীপের বিপক্ষে।’
মালদ্বীপের কোচ আলী সুজেইন সংবাদ সম্মেলনের শুরুতেই বললেন, 'মালদ্বীপের ফুটবলে এটি একটি ঐতিহাসিক জয়। ৪৫ বছরের ইতিহাসে আজই প্রথম বাংলাদেশে জিতল মালদ্বীপ। এজন্য মালদ্বীপ ফুটবল দলকে বিশেষ ধন্যবাদ জানাতে চাই।’
বিজ্ঞাপন
এই ম্যাচের আগে বাংলাদেশ-মালদ্বীপ ১৮ বার মুখোমুখি হয়েছে। বাংলাদেশ জিতেছে ৮ বার, মালদ্বীপ ৬ বার ও ৪ বার ড্র হয়েছে। মালদ্বীপের ছয়টি জয়ের একটিও বাংলাদেশের মাটিতে ছিল না। আশি-নব্বইয়ের দশকে বাংলাদেশ হেসে খেলে মালদ্বীপকে হারাত। মাঝের কয়েক বছর বাংলাদেশ পাত্তাই পায়নি দ্বীপ দেশটির কাছে। এখন আবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে, 'আমি কোচ থাকা অবস্থায় বাংলাদেশের বিপক্ষে জয়, ড্র ও হার তিনটিই হয়েছে মালদ্বীপের। দুই দেশের ফুটবলে আগে বিস্তর ফারাক ছিল, গত ৩-৪ বছরে প্রায় সম পর্যায়ে এসেছে।'
গত বছর অক্টোবরে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে বাংলাদেশের বিপক্ষে হারের পর মালদ্বীপ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেনি। এক বছর হয়নি ঘরোয়া লিগও। আজ ম্যাচ জিতলেও তার খেলোয়াড়দের ফিটনেস আন্তর্জাতিক পর্যায়ের নয় সেটা অকপটে স্বীকার করেছেন, 'দ্বীপভিত্তিক কিছু ম্যাচ খেলেছে ফুটবলাররা। মাজিয়া এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগ খেলেছে। এরপরও আমাদের ফুটবলারদের ফিটনেস এখনো আন্তর্জাতিক পর্যায়ের জন্য যথেষ্ট নয়।'
মালদ্বীপ ম্যাচ জিতলেও বাংলাদেশ বেশ কয়েকটি গোলের সুযোগ মিস করেছে। মালদ্বীপের গোলরক্ষক হুসেইন শরীফ দুর্দান্ত কয়েকটি সেভ করেছেন আবার ডিফেন্ডাররা দারুণ কিছু ব্লক করেছেন। না হলে খেলার ফলাফল ভিন্ন হতে পারত।
'বাংলাদেশ যথেষ্ট ভালো ফুটবল খেলেছে। আমার খেলোয়াড়রাও দারুণ খেলেছে। আমার দৃষ্টিতে ম্যান অব দ্য ম্যাচ আমাদের নাম্বার ফাইভ (মোহামেদ ইরুফান)। এই জয়ে তার অবদান অনেক।'
এজেড/এইচজেএস