২০২৪ সালের ডিসেম্বরে আন্তর্জাতিক ম্যাচ নেই। নভেম্বর উইন্ডোর দুই ম্যাচই বছর শেষ হবে। বাংলাদেশ শেষ ফিফা উইন্ডোতে মালদ্বীপের বিপক্ষে দুটি হোম ম্যাচ খেলবে। আজ কিংস অ্যারেনায় সন্ধ্যা ছয়টায় প্রথম ম্যাচ। 

বাংলাদেশ-মালদ্বীপ দুই দল এখন পর্যন্ত ১৮ বার মোকাবেলা করেছে। ৮ জয়ে বাংলাদেশের পাল্লা ভারী। মালদ্বীপ এখন র‍্যাঙ্কিংয়ে এগিয়ে থাকলেও বাংলাদেশের বিপক্ষে জয় ৬টি আর ড্র ৪ বার। এই সিরিজ প্রীতি ম্যাচ হলেও বাংলাদেশের জন্য এশিয়া কাপ বাছাইয়ের ড্রতে সুবিধাজনক পটে থাকার লড়াইও। 

এক সময় মালদ্বীপ দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবলে শক্তিশালী দল ছিল। সাম্প্রতিক সময়ে তাদের কিছু কর্মকান্ডে সেই অবস্থান আর নেই। ফেডারেশনের সভাপতি ফিফা থেকে নিষিদ্ধ, ঘরোয়া লিগ নেই এক বছর। বেশ বাজে অবস্থার মধ্যেও বাংলাদেশ থেকে জয় নিয়ে ফিরতে চান কোচ আলী সুজেইন, ‘আমরা খুব খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। সেই সময় পার করতে চাই বাংলাদেশের বিপক্ষে জিতে।’

তেমন কোনো প্রতিযোগিতার মধ্যে নেই ফুটবলাররা। এরপরও জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী হওয়ার সম্বল তাদের ক্লাব মাজিয়া, ‘জাতীয় দলের অনেক খেলোয়াড় মাজিয়ার। ক্লাবটি এফসি চ্যালেঞ্জ লিগ খেলেছে কিছু দিন আগে। সেই খেলোয়াড়দের বোঝাপড়া ভালোই’ বলেন মালদ্বীপ কোচ৷ 

বাংলাদেশের স্প্যানিশ কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরা দলের প্রস্তুতি নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, ‘সত্যি বলতে, আমাদের প্রস্তুতি ভালো হয়েছে। আমরা শুরুতে কয়েকজন নিয়ে অনুশীলন শুরু করেছিলাম, পরে বসুন্ধরা কিংসের খেলোয়াড়েরা যোগ দিয়েছিল, এরপর আমরা ফর্টিসের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছি, যেটা ছিল ইতিবাচক ব্যাপার। আমি চাই, ছেলেরা সমর্থকদের জন্য খেলুক, দায়িত্ব নিয়ে খেলুক এবং ম্যাচ বাই ম্যাচ ভাল পারফরম্যান্স করুক।’

জামাল ভুইয়া পারিবারিক কারণে এই সিরিজে নেই। তপুর হাতেই আর্মব্যান্ড ওঠার কথা। সেই তপু জিততে মরিয়া, ‘অনুর্ধ্ব-২০ দল এবং নারী দলকে আমরা অভিনন্দন জানাই। এখন আমাদের পালা, আমাদের মাঠে খেলা, নিশ্চিতভাবেই আমাদের এখানে ভালো রেজাল্ট করতে হবে, এটা আমি বিশ্বাস করি।’

এজেড/জেএ