গতকাল বাফুফের নব নির্বাচিত কমিটির প্রথম নির্বাহী সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রেকর্ড ২৮ আলোচ্যসূচির মধ্যে কমিটি গঠন, দেনা-পাওনা, স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি ছাড়াও ছিল বাফুফের সফটওয়্যার সংক্রান্ত বিষয়.

এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনের অর্থায়নে বাফুফে প্রায় অর্ধ কোটি টাকা ব্যয়ে সফটওয়্যার ব্যবহার করবে। এতে বাফুফের দাপ্তরিক কাজ, ডাটাবেজসহ অনেক কিছুই সহজতর ও দীর্ঘমেয়াদী স্থায়িত্ব হবে। সফটওয়্যারের জন্য বাফুফে ইতোমধ্যে ইউনাইটেড গ্রুপকে কার্যাদেশ ও অগ্রিম অর্থ প্রদানও করেছে। এমতাবস্থায় কাল নির্বাহী সভায় সফটওয়্যার সংক্রান্ত বিষয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

ফিফা-এএফসি ফান্ড ব্যবহারের ক্ষেত্রে দশ লাখ টাকার নিচে কোনো দ্রব্য/সেবা ক্রয়ের জন্য তিনটি কোটেশন এবং দশ লাখ টাকার উপরের জন্য টেন্ডার আহ্বান বাধ্যতামূলক। বাফুফের ফেসবুক পেজে আসন্ন ঘরোয়া ফুটবল মৌসুমের ব্রডকাস্ট রাইটসে অংশগ্রহণের বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি রয়েছে। ফেডারেশনের সফটওয়্যার সংক্রান্ত কোনো টেন্ডার আহ্বান পত্র গত দুই-তিন মাসে ফেসবুক পেজ-ওয়েবসাইটে খুজে পাওয়া যায়নি। বাফুফে সচিবালয়ের তথ্য, জাতীয় সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন আকারে টেন্ডার আহ্বান করা হয়েছিল।

সফটওয়্যারের বিষয়টি আলোচনার সময় টেন্ডার প্রক্রিয়া, অনুমোদনের সিদ্ধান্তসহ আনুষাঙ্গিক বিষয়াদি নিয়ে প্রশ্ন উঠে নির্বাহী সভায়। তাৎক্ষণিকভাবে বাফুফে সচিবালয় এই সংক্রান্ত কোনো ব্যাখ্যা দিতে পারেনি। এতে সফটওয়্যার কার্যক্রম বাতিল ও কার্যাদেশ পাওয়া প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে অর্থ ফেরত নেয়ার প্রক্রিয়া নিয়েও কথা বলেছেন নির্বাহী কমিটির অনেকে।

কালকের সভার পর বাফুফের অর্ধ কোটি টাকার এই সফটওয়্যার নিয়ে খানিকটা ধোয়াশা রয়েছে। কারো মতে, সফটওয়্যার প্রকল্প বাতিল হয়েছে আবার কারো মতে, বিষয়টি পর্যবেক্ষণের মধ্যে রয়েছে। ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসনে তুষার এই প্রসঙ্গে বলেন, 'কাল এটি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এএফসিতে সফটওয়্যার সংক্রান্ত যে ডকুমেন্টস প্রেরণ করা হয়েছে। সেগুলো সামনে সভাপতি ও নির্বাহী কমিটিকে উপস্থাপন করা হবে। এরপর নির্বাহী কমিটি বিচার-বিশ্লেষণ করে সিদ্ধান্ত নেবে। ওয়ার্ক অর্ডার বাতিলের এখতিয়ার অবশ্যই নির্বাহী কমিটির রয়েছে। তবে গতকাল বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়নি।' নির্বাহী কমিটির বর্তমান সদস্য ও বিগত মেয়াদে প্রকিউরমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান জাকির হোসেন চৌধুরির দাবি, 'সুনির্দিষ্ট গাইডলাইন অনুসরণ করেই সফটওয়্যার টেন্ডার কার্যক্রম প্রকিউরমেন্ট কমিটি অনুমোদন করেছে।'

দেশের ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাফুফে। এই ফেডারেশনে খেলোয়াড়, কোচ, রেফারি সংক্রান্ত তেমন কোনো তথ্যভান্ডার নেই। সাম্প্রতিক সময়ে বাফুফের গলার কাটা ফিন্যান্স। এএফসি'র অর্থায়নে সফটওয়্যারের মাধ্যমে সকল কিছু একটু শৃঙ্খলের মধ্যে আসার সম্ভাবনা দেখছেন সাধারণ সম্পাদক, 'দাপ্তরিক চিঠি পত্র, হিসাব-নিকাশ থেকে শুরু করে সকল কিছু সফটওয়্যারের মাধ্যমে অটোমেশন পদ্ধতিতে করা যাবে। এতে নথির সুরক্ষা, গোপীনয়তা উন্নতর হবে।' আধুনিকায়নের ক্ষেত্রে ঝুকি থাকে হ্যাংকিংয়ের। যারা কার্যাদেশ পেয়েছে তাদের এই সংক্রান্ত বিষয়ে কঠোর নির্দেশনা রয়েছে ফেডারেশনের।

এজেড/এইচজেএস