ইউরোপীয় ক্লাবের ছায়া মাড়িয়ে সৌদি আরবের ফুটবলে নেইমার জুনিয়র নাম লিখিয়েছেন দেড়বছর আগে। তবে ব্রাজিলিয়ান এই ফরোয়ার্ড মাঠের চেয়ে বাইরেই বেশি সময় কাটিয়েছেন। ফর্মহীনতা নয়, ক্যারিয়ারজুড়ে ভোগানো ইনজুরি নেইমারের কাছ থেকে আরও একটি বছর কেড়ে নিয়েছে। গুঞ্জন উঠেছে, এমন ইনজুরি-প্রবণ তারকাকে নাকি আল-হিলাল স্কোয়াডে রাখবে না। বেচে দিতে পারে আগামী জানুয়ারিতে।

অ্যান্টেরিওর ক্রুসিয়েট লিগামেন্ট (এসিএল) ইনজুরি থেকে তিনি দীর্ঘ এক বছর পর মাঠে ফেরেন গত ২১ অক্টোবর। খেলেছেন এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের দুটি ম্যাচ। যদিও দুটিতেই নেমেছেন বিরতির পর বদলি হিসেবে। প্রথমদিন ৭৭তম মিনিটে এবং সর্বশেষ গত সোমবার তাকে বদলি নামানো হয় ৫৮ মিনিটে। তবে চোট নিয়ে তাকে ৮৬ মিনিটেই তুলে নিতে বাধ্য হন আল-হিলাল কোচ। সেই চোটে তাকে মাঠের বাইরে থাকতে হবে ন্যূনতম দুই সপ্তাহ। অর্থাৎ, এক বছর পর মাঠে নেমে সবমিলিয়ে খেললেন কেবল ৪৫ মিনিটের মতো।

এই অবস্থায় সৌদি প্রো-লিগে মৌসুমের দ্বিতীয় ধাপেও নেইমারকে স্কোয়াডে রেজিস্টার করতে চায় না আল-হিলাল। প্রথম ধাপেও চোট পুরোপুরি না সারায় সৌদি ক্লাবটির স্কোয়াডে ছিলেন না এই ব্রাজিলিয়ান। তাকে রাখা হয় এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ও কিংস কাপে। যদিও তিনি কেবল এএফসি’র প্রতিযোগিতায় দুই ম্যাচে নেমেছেন। চোট কাটিয়ে উঠতে পারলে নেইমারকে ফের মাঠে দেখা যাবে ২৬ নভেম্বর। তবে এদিকে তাকে ক্লাবটি ছেড়ে দিতে পারে বলে গুঞ্জন উঠেছে।

সৌদি সাংবাদিক ওয়ালিদ আল-ফারাজ বলছেন, ২০২৫ সালের মাঝামাঝি পর্যন্ত নেইমারের সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ আল-হিলালের। তবে তার আগেই ক্লাবটি জানুয়ারির ট্রান্সফার উইন্ডোতে তাকে বেচে দিতে পারে। এক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণ হিসেবে ৯০ মিলিয়ন ইউরোও নেইমারকে দিতে প্রস্তুত আল-হিলাল।

আরেক ক্রীড়া সমালোচক মোহাম্মেদ আল-শেইখের দাবি— যতদিন তিনি (নেইমার) মাঠে ছিলেন, তারচেয়ে বেশি ছিলেন মাঠের বাইরে। তিনি একজন ক্ষতিগ্রস্ত (ইনজুরি-কবলিত) ফুটবলার এবং দলে তেমন গ্রহণযোগ্যতাও নেই, বিষয়টি স্পষ্ট। তিনি অনেক বেশি প্রতিভাবান, তবে তার শরীর ইনজুরি-প্রবণ। এভাবে তার অধারাবাহিকতা আল-হিলালকে আর্থিক ও কৌশলগতভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করছে এবং ক্লাব সেই পরিস্থিতি থেকে মুক্তি চায়। সেক্ষেত্রে মেয়াদ বাকি থাকতেই তাকে বাদ দিলে ক্ষতিপূরণও দিতে হতে পারে তাদের।’

অন্যদিকে, নেইমার তার সাবেক বার্সেলোনা সতীর্থ লিওনেল মেসি, লুইস সুয়ারেজ, জর্দি আলবা ও সার্জিও বুসকেটসদের ইন্টার মায়ামিতে যেতে পারেন বলে গুঞ্জন রয়েছে অনেকদিন ধরে। সম্প্রতি এই সেলেসাও তারকা মায়ামিতে বাড়ি কেনায় সেটি আরও জোরালো হয়। যদিও মায়ামির কোচ জেরার্দো টাটা মার্টিনো তাকে দলে নেওয়ার বিষয়ে কিছু সীমাবদ্ধতার কথা জানিয়েছেন, এমএলএসে রয়েছে কঠোর আর্থিক নীতিমালা। পিএসজি থেকে ২০২৩ সালের আগস্টে আল-হিলালে যোগ দিয়ে এখন পর্যন্ত মাত্র ৭টি ম্যাচ খেলেছেন নেইমার।

এএইচএস