উড়তে থাকা বার্সেলোনার জন্য অক্টোবর ছিল বড় পরীক্ষার মাস। বড় দলগুলোর বিপক্ষে হ্যান্সি ফ্লিকের দল কেমন করে, সেটাই দেখার অপেক্ষায় ছিল অনেকে। এল ক্লাসিকোতে রিয়াল মাদ্রিদকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে দেওয়ার পর বার্সাকে নিয়ে সংশয় ছিল না খুব একটা। এরপরেও কাতালান ডার্বির মাহাত্ম্যটা ছিল আলাদা। 

সেখানেই বার্সেলোনা গতকাল বিধ্বস্ত করেছে নগর প্রতিদ্বন্দ্বী এসপানিওলকে। ঘরের মাঠে কাতালান ডার্বিতে বার্সার জয় এসেছে ৩-১ গোলে। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে খেলা ছয় ম্যাচের প্রতিটিতেই জয়ের পথে কমপক্ষে ৩ গোল করল বার্সা। 

প্রথম গোলের আগেই তিনবার এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিল। সেই তিন সুযোগের দুটি নষ্ট করেন স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড ওলমো, একবার বার উঁচিয়ে মেরেছেন। অন্যবার লক্ষ্যে বল রাখলেও তা তুলে দিয়েছেন গোলরক্ষকের হাতে। লামিনে ইয়ামালের দূরপাল্লার শট ঠেকিয়ে এস্পানিওলকে প্রাথমিকভাবে বাঁচিয়ে দেন গার্সিয়া। 

এসবই ছিল প্রথম ১২ মিনিটের আগে। এরপরের বার্সা পিকচার পারফেক্ট। ঘরের মাঠে এদিনে বার্সার গোল তিনটিই এসেছে প্রথমার্ধে। ১২ মিনিটে দানি ওলমোর গোলে এগিয়ে যায় দলটি। বার্সেলোনার নতুন সেনসেশন লামিনে ইয়ামাল অবদান রেখেছেন এই গোলে। তার দারুণ এক ট্রিভেলা পাসে পা ছুঁইয়ে গোল করেন দানি অলমো। 

২৩ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ব্রাজিলিয়ান উইঙ্গার রাফিনিয়া। মার্ক কাসাদোর জোগান দেওয়া বলে এসপানিওলের আগুয়ান গোলরক্ষকে ফাঁকি দিয়ে বার্সাকে দ্বিতীয় গোলটি এনে দেন রাফিনিয়া। এ মৌসুমে বার্সার জার্সিতে রাফিনিয়ার এটি ১১ তম গোল।

৮ মিনিট পর বার্সাকে তৃতীয় গোলটি এনে দেন ওলমো। বার্সা তৃতীয় গোলটি পাওয়ার আগেই দলটি জালে বল পাঠিয়েও অফসাইডের কারণে গোল পায়নি এসপানিওল। তবে এরমাঝে বার্সা নষ্ট করেছে একাধিক সুযোগ।  ৬৩ মিনিটে পুজাভি পুয়াদোর গোলের আগে-পরে আরও দুবার বার্সার জালে বল পাঠিয়েছিল এসপানিওল। 

তবে এখানেও খেল দেখিয়েছে হ্যান্সি ফ্লিকের হাই লাইন অভ ডিফেন্স। অফসাইডের কারণে গোল পাওয়া হয়নি এসপানিওলের। ম্যাচের যোগ করা সময়ে বার্সারও একটি গোল বাতিল হয় অফসাইডে। শেষ পর্যন্ত ৩-১ গোলের জয় নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় বার্সেলোনাকে। 

এই জয়ের পর ১২ ম্যাচে ৩৩ পয়েন্ট নিয়ে সবার ওপরে বার্সেলোনা। এক ম্যাচ কম খেলে ২৪ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে রিয়াল মাদ্রিদ।

জেএ