ম্যানসিটির হারের রাতে শীর্ষে উঠল লিভারপুল
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের এবারের মৌসুমে প্রথম হার দেখল ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ম্যানচেস্টার সিটি। বোর্নমাউথের বিপক্ষে আক্রমণভাগে দুর্বলতা দেখিয়েছে পেপ গার্দিওলার দলটি। অন্যদিকে, প্রতিপক্ষ ব্রাইটনের রক্ষণে একের পর আক্রমণ শাণিয়েও গোল পেতে ভুগতে হয়েছে লিভারপুলকে। তবে ঠিকই তারা জয় আদায় করে নিয়ে আবারও পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠে গেছে।
ম্যানসিটি ১ : ২ বোর্নমাউথ
বোর্নমাউথের ভাইটালিটি স্টেডিয়ামে স্বাগতিকরা প্রথম সিটিকে চমকে দেয় নবম মিনিটে। মিলোশ কেরকেজের কাছ থেকে বল পেয়ে বোর্নমাউথের পক্ষে অ্যান্তোনিও সেমেনিয়ো ম্যাচে লিড নেন। এরপর ৩৮তম মিনিটে ভালো একটি সুযোগ পেয়েও বল লক্ষ্যে রাখতে পারেননি সিটির আক্রমণভাগের তারকা আর্লিং হালান্ড। একইভাবে ফিল ফোডেনও দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে গোলপোস্টের বাইরে শট নিয়েছেন।
বিজ্ঞাপন
পরবর্তীতে প্রতিপক্ষের আক্রমণ সামলে ৬৪তম মিনিটে লিড ব্যবধান দ্বিগুণ করে বোর্নমাউথ। এবারও কেরেকেজের অ্যাসিস্ট, তার দারুণ নিচু ক্রসে চমৎকার স্লাইডে পোস্ট ঘেঁষে ঠিকানা খুঁজে নেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড ইভানিলসন। মিনিট চারেক পরই আবারও তাদের গোলবার কাঁপিয়ে দেয় বোর্নমাউথ। গোলের লক্ষ্যে ম্যাচের প্রথম শটটি সিটি নেয় ৭৯তম মিনিটে। তবে হালান্ডের সেই শট ঝাঁপিয়ে ব্যর্থ হয় বোর্নমাউথ গোলরক্ষকের সামনে। সেই হতাশা কাটিয়ে ৮২তম মিনিটে ব্যবধান কমায় সিটি।
জোস্কো গাভারদিওল লাফিয়ে বল জালে জড়ান ইলকাই গুন্দোয়ানের ক্রসে। সমতা ফেরানোরও সুযোগ পেয়েছিলেন সিটির জেরেমি ডোকু। তবে তার শট ব্যর্থ হয় স্বাগতিক গোলরক্ষকের হাতে। একইভাবে হালান্ডও শেষ মুহূর্তে নেওয়া শটে পোস্টে লেগে হতাশা নিয়ে মাঠ ছাড়েন। আসরে নিজেদের প্রথম এই হারে সিটি নেমে গেছে ইপিএল টেবিলের দুইয়ে। ১০ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ২৩।
লিভারপুল ২ : ১ ব্রাইটন
ঘরের মাঠ অ্যানফিল্ডে খেলতে নেমে একের পর আক্রমণেও হতাশ হতে হয়েছে লিভারপুলকে। তার আগেই ব্রাইটনের বিপক্ষে তাদের পিছিয়ে পড়তে মাত্র চতুর্দশ মিনিটে। শুরুতে পিছিয়ে পড়েও অবশ্য কোডি গাকপো ও মোহামেদ সালাহ’র গোলে অলরেডরা দারুণ জয় তুলে নিয়েছে। এর আগে ম্যাচের নবম মিনিটেই লিভারপুলকে হতাশ করেন ব্রাইটন গোলরক্ষক। তিনি বক্সের ভেতর থেকে নেওয়া দারউইন নুনিয়েজের শট ব্যর্থ করে দেন।
এরপর ১৪ মিনিটে লিভারপুলের বক্সে ড্যানি ওয়েলবেকের ফ্লিকে বল পেয়ে প্রথম স্পর্শে জোরাল শটে গোল করেন ব্রাইটনের তুর্কি মিডফিল্ডার ফার্দি কাদিওলু। এর ১৩ মিনিট পর এবং বিরতির আগমুহূর্তে আবারও গোল খেতে বসেছিল স্বাগতিকরা। প্রথমে ইয়াসিন আয়ারির প্রচেষ্টা ঠেকান লিভারপুল গোলরক্ষক এবং পরের ওয়েলবেকের শট বেরিয়ে যায় পোস্ট ঘেঁষে। দ্বিতীয়ার্ধের দশম মিনিটে সমতা ফেরানোর সুযোগ পেয়েও নুনিয়েজ বল বাইরে মেরে দেন।
গাকপোর কল্যাণে ম্যাচে সমতা টানে আর্নে স্লটের দলটি। ৬৯তম মিনিটে তার ক্রস ব্রাইটনের এক ডিফেন্ডারের মাথা ছুঁয়ে জালে জড়িয়ে যায়। লিড নিতেও দেরি করেনি লিভারপুল। কাউন্টার অ্যাটাকে কার্টিস জোন্সের বাড়ানো পাস ধরে সালাহ ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে বাঁ-পায়ে সফল লক্ষ্যভেদ করেন। যা এই মিশরীয় ফরোয়ার্ডের লিভারপুলের জার্সিতে ১৬৪তম গোল। এর মধ্য দিয়ে তিনি প্রিমিয়ার লিগে সর্বোচ্চ গোলের তালিকায় আটে উঠে গেলেন।
ম্যাচটি জিতে লিভারপুল ১০ ম্যাচে টেবিল টপার হয়ে পেয়েছে ২৫ পয়েন্ট। সিটি ২৩ এবং ১৯ পয়েন্ট নিয়ে তিনে নটিংহ্যাম ফরেস্ট।
এএইচএস