লা লিগায় মৌসুমের প্রথম রোমাঞ্চকর এল-ক্লাসিকো হয়ে গেল গতকাল (শনিবার) রাতে। যেখানে বার্সেলোনার দুর্দান্ত ট্যাকটিকস ও পারফরম্যান্সে নাস্তানাবুদ হয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। লস ব্লাঙ্কোসরা ঘরের মাঠ সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতেই ৪-০ গোলের বড় হার দেখেছে। এরপর থেকে রিয়ালের দুর্বল দিকগুলো আলোচনার পাশাপাশি প্রশ্নের কেন্দ্রে রয়েছে কোচ কার্লো আনচেলত্তির মেজাজ হারানোর প্রসঙ্গ!

ম্যাচের ৮৪ মিনিটে চতুর্থ গোল পায় বার্সেলোনা। সেই সময়ই কিছু একটা নিয়ে আঙুল উঁচিয়ে কাতালান ক্লাবটির কোচ হ্যান্সি ফ্লিকের সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায় আনচেলত্তিকে। ম্যাচে পিছিয়ে পড়া কিংবা প্রায় হার নিশ্চিতের পর স্বাভাবিক থাকার কথা নয় রিয়াল বসের। তবে হারের অভিজ্ঞতা কিংবা তিক্ত পরিস্থিতি সামলানোর অভিজ্ঞতা তো এমন কিংবদন্তির কোচের রয়েছেই। তবুও প্রতিপক্ষ কোচের মুখোমুখি কার্লোর এমন মেজাজি মনোভাব কেন সেই প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন ম্যাচ শেষে।

বার্সার উদযাপন অভদ্রোচিত ছিল বলে সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেছেন আনচেলত্তি। ডাগআউটে মেজাজ হারানো প্রসঙ্গে তিনি বলছেন, ‘ফ্লিকের সঙ্গে নয়, তার সহকারীর (মার্কাস সর্গ) সঙ্গে একটু সমস্যা হয়েছিল। সহকারী অভদ্রোচিতভাবে আমাদের বেঞ্চের সামনে উদযাপন করছিল। আমি ফ্লিককে স্বাভাবিকভাবেই ব্যাপারটি বলেছি এবং সেও একমত।’

টিভি রিপ্লেতে দেখা যায়– বার্সা রিয়ালের কফিনে ম্যাচের শেষদিকে (৮৪ মিনিট) যখন চূড়ান্ত পেরেক ঠুকে দিয়েছে, তখন বার্সা কোচের দিকে ছুটে যান রিয়াল বস। এর আগে লং পাসে বল পাওয়া রাফিনিয়াকে মার্ক করার মতো অবস্থায় ছিলেন না কেউই। লুকাস ভাসকেজকে পেছনে ফেলতে সমস্যাই হয়নি এই বার্সা অধিনায়কের। ফিনিশিংটাও ছিল দারুণ এক চিপে। সেই সময়ই মূলত পুরো বার্সা বেঞ্চ উল্লাসে ফেটে পড়ে। কেউ কেউ রিয়ালের ডাগআউটের মুখোমুখি হয়েও উদযাপন করেছেন। সেটিই ভালো লাগেনি আনচেলত্তির।

পরে সেটি নিয়ে কথা বলেছেন ম্যাচজয়ী বার্সা কোচ ফ্লিকও। তবে তিনি ঠিক অভদ্রোচিত কিছু ঘটেছে কি না উল্লেখ করেননি। সংবাদ সম্মেলনে ফ্লিক বলেন, ‘আমি আসলে জানি না কী ঘটেছে। আমি কার্লোর সঙ্গে কথা বলেছি। যেকোনো গোল হজমের পর এমন কিছু ঘটা স্বাভাবিক। তবে হয়তো এমন কিছু হয়েছে যা উপযুক্ত নয়।’

লা লিগায় নিজেদের শীর্ষস্থান আরও মজবুত করার ম্যাচটিতে বার্সার হয়ে রিয়ালের জালে দুটি গোল করেছেন রবার্ট লেভান্ডফস্কি। এ ছাড়া লামিনে ইয়ামাল ও রাফিনিয়া নিজেদের প্রথম এল-ক্লাসিকো গোলও পেয়েছেন। প্রথমার্ধে অফসাইডের ছড়াছড়ি ও সুযোগ হাতছাড়া করার পর চারটি গোলই হয়েছে দ্বিতীয়ার্ধে। 

এএইচএস