কিলিয়ান এমবাপের পিএসজি অধ্যায় এখন অতীত। তবে চাইলেও দুপক্ষের সম্পর্ক শেষ করা যাচ্ছে না। পিএসজিতে বোনাসের অর্থ বাবদ এখনও ৫৫ মিলিয়ন ইউরো পাওনা এমবাপের। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৭২৫ কোটি টাকা। পিএসজি সেই অর্থ দিতে অস্বীকৃতি জানানোয় বর্তমান রিয়াল মাদ্রিদ তারকা আদালতের দ্বারস্থ হয়ে মামলায় জিতেছেন। ফলে এমবাপেকে অর্থ পরিশোধে বাধ্য হচ্ছে ফরাসি ক্লাবটি।

চলতি মৌসুমের শুরুতে স্প্যানিশ জায়ান্ট রিয়ালে ফ্রি এজেন্ট হয়ে যোগ দেন এই ফরাসি অধিনায়ক। তাকে ছাড়তে চায়নি ক্লাবটি, আর ছাড়লেও তাদের বিক্রি করার লক্ষ্য ছিল। তবে নতুন করে আর চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ায় ফ্রি এজেন্ট হিসেবেই রিয়ালের জার্সি গায়ে তুললেন এমবাপে। এটি একেবারেই ভালো লাগেনি তার সাবেক ক্লাব পিএসজির। সে কারণেই তারা এমবাপের আনুগত্য বোনাস দিতে চায়নি।

বিষয়টি নিয়ে ফ্রেঞ্চ লিগ আঁ–র আইনি কমিশন (এলএফপি) মধ্যস্থতার প্রস্তাব দিলে তা প্রত্যাখ্যান করেছেন এই রিয়াল তারকা। সর্বশেষ সেপ্টেম্বরে কমিশন এক সপ্তাহের মধ্যে পিএসজিকে এমবাপের সমস্ত অর্থ প্রদানের জন্য বলেছিল। তবে নাসের আল খেলাইফির ক্লাব বিষয়টি অন্য আদালতে সুরাহা করবে বলে জানিয়ে দেয়। যা নিয়ে আজ ফ্রেঞ্চ ফুটবলের যৌথ কমিটি এমবাপের পক্ষে এবং পিএসজির বিরুদ্ধে রায় দেয়। ফলে ক্লাবটিকে ৫৫ মিলিয়ন ইউরো পরিশোধ করতে হবে বলে জানিয়েছে ফরাসি সংবাদসংস্থা এএফপি। যদিও ফ্রেঞ্চ ফুটবলের হাইয়ার আপিল কমিশনে এর বিরুদ্ধে আবারও আবেদনের সুযোগ পাবে পিএসজি।

৫৫ মিলিয়ন ইউরোর মধ্যে রয়েছে পিএসজিতে এমবাপের শেষ তিন মাসের বেতন এবং ক্লাবটির সঙ্গে শেষ চুক্তিতে থাকা সাইনিং বোনাস। এমবাপে তাদের কথা শোনেনি বলে পিএসজি সেটি দিতে অস্বীকৃতি দিয়ে আসছিল এতদিন। বিপরীতে এমবাপে এবং তার প্রতিনিধি পুরো অর্থই চেয়ে আসছিল। এক মাস আগে সেটি আদালতে গড়ায়, যদিও উয়েফা ও ফ্রান্সের শ্রম আদালত সেটি থামিয়ে দিতে পারত।

এর আগে সবশেষ ২০২২ সালে পিএসজির সঙ্গে চুক্তি করেন এমবাপে। যেখানে এক বছরের মেয়াদ বাড়ানোর শর্ত ছিল। তবে ২০২৩ সালের জুলাইয়ে নতুন কোনো চুক্তি না করার কথা জানান এমবাপে। তখন থেকেই ক্লাব কর্তৃপক্ষের সঙ্গে তার গণ্ডগোল শুরু হয়।

এএইচএস