সাফ চ্যাম্পিয়ন সাবিনাদের এবার মিশন শুরু হয়েছে পাকিস্তানের বিপক্ষে হোঁচট খেয়ে। ইনজুরি সময়ে শামসুন্নাহারের গোলে কোনো মতে হার এড়িয়ে সেমির আশা জিইয়ে রেখেছে বাংলাদেশ। অথচ গত সাফে পাকিস্তানকে ০-৬ গোলে উড়িয়ে দিয়েছিলেন সাবিনারাই। 

২০২২ সাফ চ্যাম্পিয়ন দলের কারিগর ছিলেন কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন। পাকিস্তান-বাংলাদেশ ম্যাচ নিয়ে সাবিনাদের সাবেক কোচের পর্যবেক্ষণ, ‘ফিনিশিং ও সেন্ট্রাল ডিফেন্সে সমস্যা রয়েছে। টুর্নামেন্টে ভালো করতে হলে এই দুই জায়গায় বিশেষ নজর দিতে হবে।’

পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচটি ড্র করলেও হেরেও যেতে পারত বলে ধারণা ছোটনের, ‘৭২ মিনিটে গোলরক্ষককে একা পেয়েও গোল করতে পারেনি পাকিস্তান। ঐ গোল হলে বাংলাদেশের পক্ষে আর ম্যাচে ফেরা সম্ভব ছিল না।’

পাকিস্তান গোল করেছে বাংলাদেশি ডিফেন্ডার শিউলি আজিমের ভুলে। ৭২ মিনিটে আরেকটি গোলের সুযোগও পেয়েছিল ডিফেন্সের ভুলেই। বাংলাদেশের সাবেক কোচের দৃষ্টিতে এই ভুলটি অনবরতই হচ্ছে, ‘ফুটবল বা যে কোনো খেলায় ভুল হতেই পারে। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে একই ভুল কাম্য নয়। চাইনিজ তাইপে, ভুটানের পর পাকিস্তানের বিরুদ্ধেও একই ভুলে গোল হজম। এর থেকে পরিত্রাণ প্রয়োজন।’

২০২৩ সালের এপ্রিলের পর থেকে সাবিনাদের কোচের দায়িত্বে নেই ছোটন। এরপর সাইফুল বারী টিটু হয়ে এখন সাবিনাদের কোচ বৃটিশ পিটার বাটলার। নতুন কোচের খেলার কৌশল ও একাদশ নিয়ে খানিকটা প্রশ্ন রয়েছে। তবে কোচকে এখনই কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে চান না ছোটন,‘এই টুর্নামেন্টের আগে তার অধীনে আমি কোনো অনুশীলন দেখিনি। অনুশীলন দেখা ছাড়া কোনো মন্তব্য করা উচিত নয়। তিনি নিশ্চয়ই অনুশীলন, পরিকল্পনা অনুযায়ী দলের কৌশল নির্ধারণ করেন। বাংলাদেশ ম্যাচটি ড্র করলেও নিয়ন্ত্রিত ফুটবলই খেলেছে। বল পজেশন বাংলাদেশেরই ছিল ম্যাচজুড়ে।’

ফুটবলে কোচের বদল স্বাভাবিক বিষয়। তেমনি কোচের বদলের সঙ্গে খেলোয়াড়দের পজিশন-পারফরম্যান্সেও প্রভাব পড়ে। পিটার বাটলার দায়িত্ব নেয়ার পর থেকেই সিনিয়রদের চেয়ে জুনিয়রদের ওপর বেশি মনোযোগ দিয়েছেন। এ নিয়ে সিনিয়র ফুটবলারদের খানিকটা ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। যদিও সিনিয়র অনেকের পারফরম্যান্স ও ফিটনেস পড়তির দিকে। এ নিয়ে দলে একটা বিভাজনের রেখা তৈরি হয়েছে। যা ছোটনের সময় প্রকাশ্যে ছিল না। খেলোয়াড়দের আন্তঃসম্পর্ক ও কোচের ভূমিকা নিয়ে ছোটন অবশ্য কোনো মন্তব্য করতে চান না।
 
এজেড/এফআই