চোট আর হাসপাতালের বেড যেন নেইমারের ক্যারিয়ারের একটা অবিচ্ছেদ্য অংশ। ফুটবল জীবনের একটা বড় অংশ মাঠের বাইরে অপেক্ষা করেই পার করেছেন ব্রাজিলিয়ান ফুটবলের এই পোস্টার বয়। তবে গেল এক বছরের মতো করে অপেক্ষা হয়ত নেইমারকে আর কখনই করতে হয়নি। এসিএল আর হাঁটুর চোটে মাঠের বাইরে থাকতে হয়েছে ঠিক ঠিক এক বছর চার দিন। 

নেইমারের মতো ভক্তরাও অপেক্ষায় ছিলেন দিনের পর দিন। চোট সারিয়ে কবে ফিরবেন নেইমার? এই প্রশ্ন বহুবারই শুনতে হয়েছে জর্জ হেসুস কিংবা ব্রাজিলিয়ান কোচদের। সেই অপেক্ষার শেষ হলো গতকাল রাতেই। এএফসি চ্যাম্পিয়নস লিগ এলিটে আল আইনের বিপক্ষে মাঠে নামলেন নেইমার। গোল-অ্যাসিস্ট না পেলেও এদিন দলের দুর্দান্ত এক জয় পেয়েছেন মাঠে থেকেই। 

গত বছর ১৮ অক্টোবর বিশ্বকাপ বাছাইয়ে উরুগুয়ের বিপক্ষে ম্যাচে বাঁ হাঁটুতে চোট পেয়েছিলেন নেইমার। এসিএল চোটের পাশাপাশি হাঁটুর মিনিসকাসেও আঘাত পেয়েছিলেন। অস্ত্রোপচারের পর শুরু হয় তার পুনর্বাসন প্রক্রিয়া। তারপর থেকেই শুরু হয়েছিল ‘নেইমারের জন্য অপেক্ষা।’ ৩৬৯ দিন পর ঘুচল সেই অপেক্ষা। আল আইনের মাঠে আল হিলালের ৫-৪ গোলে জয় আর দুই হ্যাটট্রিক ছাপিয়ে এই ম্যাচে নেইমারের মাঠে ফেরাই হয়ে উঠেছে সবচেয়ে বড় খবর।

বেঞ্চ থেকে মাঠে নেমেই গোলের সুযোগ তৈরি করেছিলেন নেইমার। আলেক্সান্দার মিত্রোভিচের সঙ্গে পাস আদান প্রদান করে বক্স থেকে শট নেওয়ার সুযোগ তৈরি করেছিলেন। শট নিলেও আল আইন গোলরক্ষকের কারণে সেটায় গোল পাওয়া হয়নি নেইমারের। ম্যাচে যোগ করা ১৬ মিনিট সময়েও একটি গোলের সুযোগ পেয়েছিলেন নেইমার। সেটিও কাজে লাগাতে পারেননি তিনি। 

৯ গোলের রোমাঞ্চকর এই ম্যাচে আল হিলালের হয়ে হ্যাটট্রিক করেন সালেম-আল দাসারি। আল আইনের হয়ে হ্যাটট্রিক করেন সুফিয়ান রাহিমি। দুই হ্যাটট্রিকের ম্যাচে জয়টা পেয়েছে নেইমারের দলটা। 

গত বছর আগস্টে সৌদি ক্লাবটিতে যোগ দেন নেইমার। হাঁটুর চোটে পড়ার আগে ক্লাবটির হয়ে মাত্র ৫টি ম্যাচ খেলেন। তাকে সৌদি প্রো লিগে এখনো নিবন্ধিত করতে পারেনি আল হিলাল। জানুয়ারির আগে নিবন্ধিত করার সুযোগ না থাকায় আপাতত সৌদি প্রো লিগের ম্যাচে নেইমারকে দেখা যাবে না।

জেএ