দুই বছরের ব্যবধানে বাংলাদেশ মুদ্রার উল্টো পিঠ দেখল। গত সাফে পাকিস্তানকে ৬-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছিলেন সাবিনারা। আজ নেপালের কাঠমান্ডুর দশরথে সেই পাকিস্তানের বিপক্ষে কোনো মতে হার এড়িয়েছে বাংলাদেশ। ইনজুরি সময়ে শামসুন্নাহারের গোলে সমতা না আসলে বাংলাদেশ ম্যাচটি হারত। ফলে টুর্নামেন্ট থেকেও বিদায় নেয়ার উপক্রম হয়েছিল। 

বাংলাদেশ প্রথমার্ধে ১-০ গোলে পিছিয়ে ছিল। দ্বিতীয়ার্ধে গোল পরিশোধের জন্য মরিয়া ছিল। একাধিকবার গোলের সুযোগও তৈরি করেছে বাংলাদেশ। ফিনিশিং ব্যর্থতায় সেই অপেক্ষা দীর্ঘায়িত হয়েছে। বাংলাদেশের বৃটিশ কোচ পিটার বাটলার দ্বিতীয়ার্ধে একাধিক পরিবর্তন করেছেন। অধিনায়ক সাবিনা খাতুনের পরিবর্তে কৃষ্ণা রাণীকে নামান। তহুরা আজ ফরোয়ার্ড লাইনে ছিলেন নিষ্প্রভ। কয়েকটি পরিবর্তন করেও তেমন ফল আসছিল না। 

নির্ধারিত ৯০ মিনিটের খেলা শেষ। চতুর্থ রেফারি ৬ মিনিট ইনজুরি সময় দেন। প্রথম মিনিটেই বাম প্রান্ত থেকে ক্রসে জটলার মধ্যে হেডে গোল করেন শামসুন্নাহার। এই গোলে যেন বাংলাদেশ হাফ ছেড়ে বাঁচে। বাংলাদেশকে দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচে ফেরার সুযোগ দিয়েছে পাকিস্তানই। ৭২ মিনিটে কাউন্টার অ্যাটাকে ব্যবধান ২-০ করার সুযোগ পেয়েছিল পাকিস্তান। গোলরক্ষক রুপ্না চাকমাকে একা পেয়েও বল জালে পাঠাতে পারেনি। উল্টো গোলরক্ষককে আঘাত করে হলুদ কার্ড দেখেছে।

বাংলাদেশ প্রথমার্ধে ম্যাচে পিছিয়ে পড়ে নিজেদের ভুলে। ৩১ মিনিটে মধ্যমাঠ থেকে লং পাস ঠিক মতো রিসিভ করতে পারেননি বাংলাদেশের ডিফেন্ডার শিউলি আজিম। এতে পাকিস্তানী ফরোয়ার্ড বল পেয়ে বাংলাদেশেল গোলরক্ষক রুপনা চাকমাকে পরাস্ত করেন। ৪৩ মিনিটে ঋতুপর্নার জোরালো শট ক্রসবারে লেগে ফেরত আসলে প্রথমার্ধে পিছিয়ে থেকেই মাঠ ছাড়তে হয় বাংলাদেশকে।

আজ পাকিস্তানকে হারালেই সেমিফাইনাল নিশ্চিত হতো বাংলাদেশ ও ভারতের। এই ড্রয়ে এখন তাকিয়ে থাকতে হবে বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচের দিকে। ঐ ম্যাচ ড্র হলে বাংলাদেশ গ্রুপ রানার্স আপ হিসেবে খেলবে সেমিতে। ম্যাচটি হারলেও সুযোগ থাকবে। সেক্ষেত্রে গোল ব্যবধান মূখ্য হয়ে দাঁড়াবে। 

এজেড/এইচজেএস