বাফুফে নির্বাচন
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ইমরুল, ‘বিতর্কিত’ নির্বাচন কমিশন
বাফুফের প্রধান নির্বাচন কমিশনার মেজবাহ উদ্দিনকে নিয়ে ২০২০ সালেই প্রশ্ন উঠেছিল। বাফুফে এবারও তার ওপর আস্থা রেখেছে। কিন্তু চলমান নির্বাচনেও পরতে পরতে প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে মেজবাহ উদ্দিনের কমিশন। আজ মনোনয়ন প্রত্যাহার ও চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকার দিনে আরো একবার প্রশ্ন উঠেছে।
বাফুফের সাবেক সহ-সভাপতি তাবিথ আউয়াল ফেডারেশনের নতুন সভাপতি হওয়া এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা। নির্বাচনের পুরো আকর্ষণ ছিল সিনিয়র সহ-সভাপতি পদকে ঘিরে। তরফদার রুহুল আমিন আজ দুপুরে একেবারে অন্তিম মুহুর্তে মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করেন। সেই মনোনয়ন পত্র ছিল সাধারণ সম্পাদক বরাবর। নির্বাচনের সকল আবেদন হবে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বরাবর। ফলে এই আবেদন গ্রাহ্য হওয়ার কথা নয়। মেজবাহ উদ্দিনের নির্বাচন কমিশন তরফদার রুহুল আমিনকে এই ভুল শুধরাতে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত সময় দেন। পুনরায় আবেদন আসলে সেটি গ্রাহ্য হলে তরফদার রুহুল আমিনের প্রার্থিতা প্রত্যাহার হয়ে ইমরুল হাসান বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।
বিজ্ঞাপন
বাফুফের নির্বাচনী তফসিল অনুযায়ী দুপুর দু'টা ছিল মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহারের শেষ সময়। এক ঘন্টা পরেই বিকেল তিনটায় চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ হওয়ার কথা তফসিল অনুযায়ী। অথচ নির্বাচন কমিশন তরফদার রুহুল আমিনকে ভুল শোধরানোর জন্য তিন ঘন্টা সময় দিয়েছে। ভুল শোধরানোর সুযোগ দেয়া এবং তফসিলের সময় পেরিয়ে যাওয়ার পর প্রত্যাহার গ্রহণ হওয়া নিয়ে ফুটবলাঙ্গনে চলছে সমালোচনা। এই প্রসঙ্গে আজ সন্ধ্যায় বাফুফে ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার মেজবাহ উদ্দিন বলেন, 'কমিশন চাইলে সময় বাড়াতে পারে। এটার এখতিয়ার কমিশনের রয়েছে।'
তরফদার রুহুল আমিন মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহারে পাঁচটি কারণ দেখিয়েছেন। এর মধ্যে দু'টি কারণ নির্বাচন কমিশন ও প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেন্দ্রিক। রুহুল আমিনের প্রতাহার পত্র পুনরায় শুধরে গ্রহণ করে সেই অভিযোগটি আরো একবার প্রমাণ করে নিজেদেরই প্রশ্নবিদ্ধ করেছে কমিশন। এই প্রসঙ্গে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের যুক্তি, 'তার যে চিঠি সেখানে নির্বাচন কমিশনারের বিষয়গুলো আসার কথা না। আর যে ভুল হয়েছে এটা করণিক ভুল। করণিক ভুল সংশোধন যোগ্য। এজন্য তাকে সময় দেয়া হয়েছিল। সেই সময়ের মধ্যে তিনি দিয়েছেন।'
তরফদার রুহুল আমিনের প্রত্যাহার গৃহীত হওয়ায় সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে একক প্রার্থী ইমরুল হাসান। এই পদে ভোটাভুটির প্রয়োজন হবে না। 'কংগ্রেসের দিন (নির্বাচনের দিন এজিএম) তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হবেন', বলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার।
সিনিয়র সহ-সভাপতি ছাড়া অন্য তিন পদে নির্বাচন হচ্ছে। একটি সভাপতি পদের বিপরীতে ২ জন, চার সহ-সভাপতি পদের বিপরীতে ৬ জন, ১৫ নির্বাহী সদস্যের বিপরীতে ৩৭ জন প্রার্থী হয়েছেন। নির্বাচন কমিশন আজ ৪৬ জন চূড়ান্ত প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ ও ব্যালট নির্ধারণ করেছে।
আগামী ২৬ অক্টোবর দুপুর দুইটা থেকে ছয়টা পর্যন্ত রাজধানীর হোটেল ইন্টার কন্টিনেন্টালে চলবে ভোট গ্রহণ। ১৩৩ জন কাউন্সিলর ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।
এজেড/এইচজেএস