এএফসি অনূর্ধ্ব-১৭ টুর্নামেন্টের বাছাই পর্বের শুরু বাংলাদেশের শুভসূচনা হয়নি। কম্বোডিয়ার নমপেনে স্বাগতিকদের বিপক্ষে ১-০ গোলে হেরেছে বাংলাদেশ। কম্বোডিয়া ম্যাচের অর্ধেকের বেশি সময় দশ জন নিয়ে খেলেছে।

ম্যাচের শুরু থেকে দুই দল আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে খেলতে থাকে। ৮ মিনিটে স্বাগতিক কম্বোডিয়া লিড নিতে পারত। তাদের সামনে বাধা হয়ে দাড়ায় সাইড পোস্ট। এরপর বাংলাদেশ দুর্দান্ত কয়েকটি সুযোগ পেয়েও মিস করে। প্রথমার্ধে দুই বার গোলরক্ষককে একা পেয়েও বল জালে পাঠাতে পারেনি সাইফুল বারী টিটুর শিষ্যরা।

বয়স ভিত্তিক পর্যায়ে প্রবাসী ফুটবলারদের খেলার রেকর্ড তেমন নেই। অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী আরহাম ইসলাম আজকের ম্যাচে খেলেছেন। উচ্চতা ও গতি দিয়ে কম্বোডিয়ার রক্ষণভাগকে ভালোই ব্যতিব্যস্ত রেখেছেন। মাত্র সপ্তাহ খানেক আগে অস্ট্রেলিয়া থেকে আসায় আবহাওয়া ও দলের সঙ্গে পুরোপুরি এখনো সেভাবে মানিয়ে নিতে পারেননি। তবে তার ট্যাকনিক্যাল সামর্থ্য দলের অন্য সবার চেয়ে আলাদা। তাকে ফাউল করেই কম্বোডিয়া প্রথমার্ধে দশ জনে পরিণত হয়।

বাংলাদেশ দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই গোলের জন্য মরিয়া হয়ে উঠে। বেশ কয়েকটি সুযোগ হাতছাড়া হয়। এক আক্রমণে বাংলাদেশ গোল পেয়েই গিয়েছিল। গোললাইন থেকে কোনোমতো রক্ষা করেন কম্বোডিয়ান ডিফেন্ডার। সেই ক্লিয়ারে বল তার হাতে লেগেছিল। এতে বাংলাদেশ পেনাল্টি দাবি করলেও রেফারি সাড়া দেয়নি।

ঐ আক্রমণ ছাড়াও প্রতিপক্ষ গোলরক্ষককে হাত মেলানো দূরত্বে পেয়েও বল জালে পাঠাতে পারেননি বাংলাদেশের ফুটবলাররা। উল্টো ৮৫ মিনিটে কম্বোডিয়া সংঘবদ্ধ আক্রমণে একমাত্র জয়সূচক গোল পায়। বক্সের ওপর বাংলাদেশি ডিফেন্ডারদের মাঝ থেকে কম্বোডিয়ার ফুটবলার কোনাকুনি শট নেন। বাংলাদেশের গোলরক্ষক অন্য পোস্টে থাকায় তাকিয়ে থাকা ছাড়া কিছু করার ছিল না।

পিছিয়ে পড়ে খেলায় ফেরার জন্য মিনিট দশেক সময় ছিল বাংলাদেশের হাতে। ইনজুরি সময়ের ছয় মিনিটের মধ্যে দু'টি গোলের সুযোগ মিস করেছে বাংলাদেশ। ইনজুরি সময়ে তৃতীয় মিনিটে বাম প্রান্ত থেকে এক ক্রসে বাংলাদেশের দুই ফরোয়ার্ড একেবারে আনমার্কড ছিলেন। এদের এক জনের হেড পোস্টের উপর দিয়ে যায়। খেলার অন্তিম মুহুর্তেও সুযোগ মিস করেছে বাংলাদেশ। 

এজেড/এইচজেএস