ভিনিসিয়ুস জুনিয়র নেই। শুরুর একাদশে রাখা হয়নি বিষ্ময়বালকের তকমা পাওয়া এন্ড্রিককেও। পেরুর বিপক্ষে ব্রাজিলের শুরুর একাদশে সবচেয়ে বড় ভরসার নাম রাফিনিয়া। বার্সেলোনার হয়ে আছেন দুর্দান্ত ছন্দে। এবার দেশের জার্সিতেও সেই ফর্ম টেনে আনলেন। যদিও গোলটা ব্রাজিল পেয়েছে পেনাল্টি থেকেই। রাফিনিয়ার নির্ভূল স্পটকিক পেরুর বিপক্ষে পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের এনে দিয়েছে লিড। 

১-০ গোলে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে গেল ব্রাজিল। অবশ্য বাছাইপর্বের এই ম্যাচে ভাগ্যটাকেও ব্রাজিল খুব যে পাশে পেয়েছে এমন না। পেনাল্টি সিদ্ধান্ত এসেছে ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারির সুবাদে। আর তারও আগে ম্যাচের ২৪ মিনিটে সেলেসাওদের হতাশ করেছে ক্রসবার। এবারও নেপথ্যে সেই রাফিনিয়া। নাম্বার টেন রোলে খেলা এই তারকার দুর্দান্ত ভলি ফেরত আসে ক্রসবার থেকে। 

গেরসন আর ব্রুনো গিমারেয়েসকে ডাবল পিভট রোলে রেখে দল সাজিয়েছেন কোচ দোরিভাল জুনিয়র। আক্রমণে ছিলেন তরুণ ইগোর হেসুস। ম্যানচেস্টার সিটির সাভিনভো, বার্সার রাফিনিয়া আর রিয়াল মাদ্রিদের রদ্রিগো গোজ ছিলেন অ্যাটাকিং মিডফিল্ডারের ভূমিকায়। 'আগে ঘর গোছাও পরে আক্রমণ'- দোরিভালের ব্রাজিল প্রথমার্ধ পার করেছে এই নীতির সুবাদে। যে কারণে ৭৫ শতাংশ বল দখলে রাখলেও পুরো ৪৫ মিনিটে ৫ বারই কেবল প্রতিপক্ষের গোলমুখে শট নিতে পেরেছে। 

তবে পেরুর বিপক্ষে নিজেদের জালেও একবার বল ঢুকতে দেখেছে ব্রাজিল। এডিসন ফ্লোরেস ম্যাচের ১১ মিনিটেই পেরুকে লিড এনে দিয়েছিলেন। ব্রাজিলিয়ান গোলরক্ষক এডারসনকে দারুণ এক চিপে বোকা বানিয়েছিলেন তিনি। যদিও সেই গোল কাঁটা পড়ে অফসাইডে। এরপরেই মূলত ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের করে নেয় ব্রাজিল। 

জেএ