কোপা আমেরিকায় খুব একটা নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি। লিওনেল মেসির পা থেকে মহাদেশীয় আসরে আর্জেন্টিনা গোল পেয়েছিল মোটে একটি। অ্যাসিস্টেও ছিলেন পিছিয়ে। মাঝে ইনজুরির কারণে বেশ অনেকটা দিন ফুটবল আর মেসির মাঝে ছিল দূরত্ব। তবে এলএমটেন দেখালেন, এখনো ফুরোয়নি তার বা পায়ের কারুকাজ। 

ফিফা বিশ্বকাপ ২০২৬ এর বাছাইপর্বের ম্যাচে ঘরের মাঠে আর্জেন্টিনা মুখোমুখি বলিভিয়ার। প্রথমার্ধে দুই দলের ব্যবধান হয়ে রইলেন সেই মেসিই। এক গোলের পাশাপাশি করেছেন দুই অ্যাসিস্ট। তাতেই ম্যাচের প্রথম ৪৫ মিনিট শেষে আর্জেন্টিনা পেল ৩ গোল। 

লাউতারো মার্তিনেজের পাস ধরে মেসির বা পায়ের ক্লিনিক্যাল ফিনিশ ম্যাচের ১৯ মিনিটে আর্জেন্টিনাকে এনে দেয় লিড। সামনে থাকা ডিফেন্ডার বা কাছের পোস্টে গোলরক্ষকের ঠেকানোর সাধ্য ছিল না (১-০)।

এরপর লাউতারোর প্রতি কৃতজ্ঞতাও যেন স্বীকার করলেন ম্যাচের ৪৩ মিনিটে। পালটা আক্রমণে মাঝমাঠ থেকে বল পেয়ে নিজেই ঢুকে গিয়েছিলেন বক্সে। এরপরই নিঃস্বার্থ মাপা পাস দিলেন লাউতারোর দিকে। ততক্ষণে উন্মুক্ত হয়ে পড়েছে বলিভিয়ান রক্ষণের পুরোটাই। ফাঁকা পোস্টে আলতো টোকায় করেছেন স্কোর (২-০)। 

প্রথমার্ধের একেবারে যোগ করা সময়ে মাঝমাঠে ফ্রিকিক পায় আর্জেন্টিনা। নিরীহদর্শন সেই জায়গা থেকেই চকিত ক্রস মেসির। অফসাইড ট্র‍্যাপ ভেঙেছিলেন হুলিয়ান আলভারেজ। বুক দিয়ে বল নামিয়ে জটলার মধ্যে ফিনিশ (৩-০)৷ প্রথম ৪৫ মিনিটেই স্কোরশিটে আর্জেন্টিনার ৩ স্ট্রাইকার। 

লাউতারো মার্তিনেজ এবং হুলিয়ান আলভারেজকে অদলবদল করে খেলিয়েই গত দুই বছর সাফল্য পেয়েছেন আর্জেন্টাইন কোচ লিওনেল স্কালোনি। বলিভিয়ার বিপক্ষে তাদের দুজনকেই একসঙ্গে নামানো হলো। সঙ্গে ডানপ্রান্তে ছিলেন মেসি। একাধিক ইনজুরিতে জর্জর আর্জেন্টিনার রক্ষণে ছিলেন ক্রিশ্চিয়ান মেদিনা আর নিকোলাস তালিয়াফিকো। ফর্মেশন থেকেই আর্জেন্টাইন কোচের আক্রমণাত্মক দর্শন ছিল স্পষ্ট। 

ম্যাচের প্রথম ৪৫ মিনিটের পরিসংখ্যানেও সেটা ছিল স্পষ্ট। পুরো প্রথমার্ধেই বলিভিয়ার রক্ষণে ছড়ি ঘুরিয়েছে আর্জেন্টিনা। ম্যাচে বল পজেশনের পাশাপাশি আক্রমণেও আর্জেন্টিনার আধিপত্য ছিল পুরোদমে। 

জেএ