বাফুফে নির্বাচনে পদ ভেদে নির্দিষ্ট মূল্যে মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করেছেন আগ্রহীরা। নির্বাচনে মনোনয়ন পত্র ক্রয়ের পর বাফুফে সচিবালয় থেকে নির্বাচন বিধিমালা, তফসিল  ও ভোটার তালিকা প্রদান করা হয়। ২০২৪ সালের নির্বাচন চলমান থাকলেও মনোনয়ন ক্রয় করা ব্যক্তিরা পাচ্ছেন ২০২০ সালের নির্বাচনী বিধিমালা। সেই বিধিমালায় স্বাক্ষর রয়েছে ফিফা ও বাফুফে থেকে নিষিদ্ধ সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগের।

নির্বাচনে প্রার্থীর প্রচারণা, নির্বাচন কমিশনের আওতা, বাফুফে নির্বাহী কমিটির দায়িত্বসহ নানা বিষয় বিধিমালায় লিপিবদ্ধ। তাই এটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। চলমান নির্বাচনে ২০২০ সালের বিধিমালাই ব্যবহার হচ্ছে এবং সেখানে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন সহ নিষিদ্ধ সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগের স্বাক্ষরও রয়েছে।

একজন নিষিদ্ধ ব্যক্তির স্বাক্ষরিত বিধিমালা চলতি নির্বাচনে প্রদান ও ব্যবহার নিয়ে ফুটবলাঙ্গনে আলোচনা-সমালোচনা চলছে। এই বিষয়ে বাফুফের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন তুষার বলেন, '২০২৪ সালের নির্বাচনে বিধিমালার কোনো পরিবর্তনই হয়নি। পরিবর্তন প্রয়োজন হয়নি বিধায় আগের বিধানমালাই ব্যবহার হচ্ছে।'

বিধিমালা অনুমোদনের এখতিয়ার বাফুফে নির্বাহী কমিটির। নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয়ে বাফুফে ৩ অক্টোবর নির্বাহী সভাও করেছে। ঐ সভায় নির্বাচন কমিশন গঠনের পাশাপাশি ২০২০ সালের বিধিমালাই ঠিক রেখে ২০২৪ সাল করে হালনাগাদ করলে আর এই প্রশ্নের মুখে পড়তে হতো না বাফুফেকে।

২০২৩ সালের ১৪ এপ্রিল বাফুফের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগ ফিফা থেকে নিষিদ্ধ হন। চলতি বাফুফে নির্বাচনে তার স্ত্রী সদস্য পদে মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করেছে। এ নিয়েও ফুটবলাঙ্গনে বেশ আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে। 

এজেড/এইচজেএস