প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে মাতলেন ফুটবলে
বাফুফে ভবনে চলছে নির্বাচনী ব্যস্ততা। পাশেই টার্ফে চলছে ফুটবল ম্যাচ। কারো এক হাত নেই, কারও আবার পা। স্টিক ধরেই ফুটবল খেলছেন তারা। শারীরিক প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে ফুটবল আনন্দে মেতেছেন তারা।
কক্সবাজারের ছেলে মেহেদী হাসান। চার বছর বয়সে এক দুর্ঘটনায় পা হারিয়েছেন। এক পা হারালেও দমে যাননি। জীবনযুদ্ধ করছেন, আবার সময় পেলে ফুটবল আনন্দেও মাতেন। ট্রেনিং এবং ম্যাচ খেলতে পারায় বেশ আনন্দ তার, ‘এখানে বিদেশি কোচরা আমাদের অনুশীলন করিয়েছে, আবার আজ খেললামও, ভালোই লাগছে। সময়-সুযোগ পেলে আমরা খেলার চেষ্টা করি।’
বিজ্ঞাপন
আম্পুটি বিশ্বকাপ ফুটবলও আয়োজন করে। ২০২২ সালে বাংলাদেশ আম্পুটি বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচও খেলেছে কমলাপুর স্টেডিয়ামে। পুরুষ আম্পুটি খেলোয়াড় সারা দেশে ত্রিশ জনের বেশি থাকলেও নারী খেলোয়াড় মাত্র ১৫-১৬ জন। তাই দুই দল করাই কষ্টসাধ্য। ছোট গোল পোস্ট, স্বল্প আয়তনে সাত জন খেলোয়াড়। গোলরক্ষকের এক হাত নেই, অন্য পজিশনের খেলোয়াড়দের এক পা নেই। অন্য নিয়মগুলো সাধারণ ফুটবলের মতোই আম্পুটি ফুটবলে।
অ্যাম্পুটি ফুটবলে ছেলেদের বিভাগে সেরা হয়েছে বাংলাদেশ। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) কৃত্রিম টার্ফে অনুষ্ঠিত প্রদর্শনী খেলায় ইংল্যান্ড নামে খেলা দলকে ১-০ গোলে হারায় বাংলাদেশ নামে খেলা দল। মেয়েদের খেলায় সাদা দল টাইব্রেকারে ১-০ গোলে লাল দলকে হারায়। এর আগে নির্ধারিত সময়ের খেলা গোলশূন্য ড্র ছিল। খেলা শেষে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন বিশ্ব অ্যাম্পুটি ফুটবল ফেডারেশনের (ডব্লুএএফএফ) কোচ হ্যারি স্মিথ। এ সময় বাফুফে সদস্য মহিদুর রহমান মিরাজ উপস্থিত ছিলেন।
বিশ্ব অ্যাম্পুটি ফুটবল ফেডারেশন ও আইসিআরসি’র পৃষ্ঠপোষকতায় এবং স্পোর্টস ফর হোপ এন্ড ইন্ডিপেন্ডন্স (শি), বাংলাদেশ অ্যাম্পুটি ফুটবল এসোসিয়েশন (বাফা) ও বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সহযোগিতায় পাচঁ দিনব্যাপী অ্যাম্পুটি ফুটবলের (নারী ও পুরুষ) ট্রেনিং, কোচেস কোচিং এবং প্রীতি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে।