বাফুফে সভাপতি পদে গতকাল কোনো ফরম বিক্রি হয়নি। আজ দুপুরের মধ্যে দুটি ফরম বিক্রি হয়েছে। একটি সংগ্রহ করেছেন তাবিথ আউয়াল, আরেকটি মিজানুর রহমান। তাবিথ আউয়ালের মতো তিনিও লোক মারফত ফরম সংগ্রহ করেছেন।

বাফুফে নির্বাচনে সভাপতি পদে মনোনয়ন কিনে চমক দেওয়া নতুন কিছু নয়। ২০১৬ সালে টঙ্গী ক্রীড়া চক্রের নুরুল ইসলাম নুরু মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করে চমক দিয়েছিলেন ৷ আট বছর পর মিজানুর রহমানের সভাপতি পদে ক্রয় সেই রকমই। মিজানুর রহমান ফুটবল অঙ্গনে একেবারে অচেনা ব্যক্তি।

ফুটবল ফেডারেশনের নির্বাচনে অন্য সব ফেডারেশনের থেকে ভিন্ন। কাউন্সিলর না হয়েও নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা যায়। সেক্ষেত্রে মনোনয়ন পত্রে কাউন্সিলরদের মধ্যে থেকে একজন প্রস্তাবক ও আরেকজন সমর্থক হতে হয়। সভাপতি পদে নির্বাচনে দাঁড়ানো তাবিথ আউয়াল কাউন্সিলর হননি।

বাফুফে নির্বাচনে সভাপতি পদে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছিলেন ক্রীড়া সংগঠক তরফদার রুহুল আমিন। তিনি সবার আগে ঘোষণা দিয়ে এখন খানিকটা নিভৃতে। ফুটবলাঙ্গনের খবর, তরফদার শেষ পর্যন্ত সভাপতি পদে নির্বাচন নাও করতে পারেন ফলে তাবিথ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিততে যাচ্ছেন।

তাবিথ যেন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় না জিততে পারেন এজন্য একজন অচেনা কাউকে দাঁড় করানো নাকি মিজানুর স্ব-ইচ্ছায় আলোচনায় আসতে সভাপতি পদে মনোনয়ন কিনেছেন নাকি তাবিথই দাঁড় করিয়েছেন এ নিয়ে ফুটবলাঙ্গনে ধূম্রজাল তৈরি হয়েছে।

এজেড/এইচজেএস