ব্যাটিং ব্যর্থতায় ভারতের বিপক্ষে বড় হার দিয়ে টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু করেছে বাংলাদেশ। সে সময়ই বড় রান করতে না পারার ব্যর্থতা স্বীকার করেছিলেন টাইগার অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। ফলে রানের পিচ মানেই বাংলাদেশের বাড়তি দুশ্চিন্তা। যেখানে প্রতিপক্ষ দল অনায়াসে রান তোলে, সেখানেও ত্রাহি দশা হয় টাইগার ব্যাটারদের। ফলে দ্বিতীয় ম্যাচে দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামের পিচ তাদের ভাবনার কারণ হতে পারে।

আগামীকাল সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে সন্ধ্যা ৭টায় মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও ভারত। এই ম্যাচ হবে সফরকারীদের জন্য সিরিজ বাঁচানোর লড়াই। যেখানে হারলেই টেস্টের পর ফসকে যাবে সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটের সিরিজও। সেক্ষেত্রে শান্ত-রিয়াদ-হৃদয়দের কাছ থেকে টি-টোয়েন্টি সুলভ ব্যাটিংই প্রয়োজন। কারণ গোয়ালিয়রের পর দিল্লি স্টেডিয়ামেও ব্যাটিং-বান্ধব উইকেটের দেখা মিলতে পারে।

২০২৪ আইপিএল আসরে অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে পাঁচটি ম্যাচ হয়েছিল। যেখানে ১০ ইনিংসের মধ্যে আটটিতেই উঠেছে দুইশ’র বেশি রান। এর মধ্যে আড়াইশ পেরিয়েছে দুই বার, আরেকটি ছিল ২৪৭ রান। বাকি দুটি ইনিংসও ২০০ ছুঁই ছুঁই করেছে। ফলে বোলারদের বড় পরীক্ষায় পড়তে হবে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে। রাতের দিকে শিশির পড়ার সম্ভাবনা থাকলেও আগামীকাল ওই ভেন্যুর আবহাওয়া স্বাভাবিকই থাকবে বলে জানা গেছে।

এর আগে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে মাত্র ১২৭ রানেই গুটিয়ে যায় বাংলাদেশের ইনিংস। মেহেদী হাসান মিরাজ সর্বোচ্চ ৩৫ রানের ইনিংস খেলেন ৩২ বলে। এ ছাড়া অধিনায়ক শান্ত’র ২৫ বলে ২৭ ছাড়া বলার মতো রান পাননি দলের কেউ। ওপেনিং ও মিডল অর্ডারে বড় কোনো জুটি না হওয়ায় ভারতকে বড় লক্ষ্য দিতে পারেনি বাংলাদেশ। অথচ সেই রান ভারত পেরিয়েছে মাত্র ১১.৫ ওভারে। হার্দিক পান্ডিয়া ৩৯ এবং সূর্যকুমার যাদব ও সঞ্জু স্যামসন ২৯ রান করে তোলেন। এক ব্যাটার ছাড়া বাকি সবাই রান করেছেন ১৫০–এর বেশি স্ট্রাইকরেটে।

সেই ম্যাচ শেষে শান্ত অকপটে স্বীকার করেছেন নিজেদের বেশি রান করতে না পারার সামর্থ্যের কথা। এটা অজানা নয় যে, ঘরের মাঠে বাংলাদেশ গড়ে ১৪০-১৫০ রানের পিচে খেলে থাকে। যা নিয়ে কম আলোচনা হয়নি, তবে পাল্টায়নি টাইগারদের সেই চিরাচরিত পিচ ও ব্যাটিংয়ের চিত্র। এখন পর্যন্ত ভারতের বিপক্ষে ১৫ টি-টোয়েন্টি খেলে বাংলাদেশের জয় মাত্র একটি, বাকি সব গেছে ভারতের দখলে।

এএইচএস