ডোপ-বিরোধী নীতিমালা ভঙ্গের দায়ে ফ্রান্সের বিশ্বকাপজয়ী মিডফিল্ডার পল পগবাকে চার বছরের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল ইতালির জাতীয় ডোপিং-বিরোধী ট্রাইব্যুনাল। এরপর তিনি শাস্তি কমানোর দাবিতে কোর্ট অব আরবিট্রেশন ফর স্পোর্টে (সিএএস) আবেদন করেছিলেন। যার প্রেক্ষিতে ১৮ মাসের নিষেধাজ্ঞা কমেছে পগবার।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি সূত্রের বরাতে জানিয়েছে, ৩১ বছর বয়সী জুভেন্তাসের এই মিডফিল্ডার ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে অনুশীলন করতে পারবেন। পরবর্তীতে পগবা পুনরায় ম্যাচ খেলতে নামতে পারবেন মার্চে। এর আগে ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে দৈবচয়ন ভিত্তিতে ডোপ টেস্ট করা হয় এই ফরাসি তারকার। যেখানে টেস্টোস্টেরনের পরিমাণ মাত্রাতিরিক্ত হওয়ায় তাকে চার বছরের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়।

সেই শাস্তি কমল সিএএসের দেওয়া আপিলের রায়ে। কোর্ট অব আরবিট্রেশন ফর স্পোর্টের ডিরেক্টর জেনারেল ম্যাথু রিব নিশ্চিত করেছেন, ২০২৩ সালের ১১ সেপ্টেম্বর থেকে কার্যকর হওয়া নিষেধাজ্ঞা থেকে ১৮ মাস শাস্তি কমেছে পগবার। এই ঘোষণায় নিজের সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন জুভেন্তাসের এই মিডফিল্ডার, ‘অবশেষে আমার দুঃস্বপ্নের ইতি হয়েছে। আমার আবারও স্বপ্ন নতুন করে শুরু করার দিনটির দিকে তাকিয়ে আছি।’

বিবৃতিতে পগবা আরও বলেন, ‘আমি সবসময়ই বলে এসেছি আমি সজ্ঞানে কখনও বিশ্ব অ্যান্টি-ডোপিং নীতিমালা ভঙ্গ করিনি। আমাকে চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে যে পুষ্টিজনিত ওষুধ দেওয়া হয়েছিল, সেটি কোনো পুরুষ অ্যাথলেটের পারফরম্যান্সে প্রভাব কিংবা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখতে পারে না। আমি সততার সঙ্গে খেলে আসছি, যদিও আমি এমন কঠোর অপরাধের অভিযোগও মেনে নিচ্ছি। আমার ব্যাখ্যা আমলে নেওয়ায় কোর্ট অব আরবিট্রেশন ফর স্পোর্টের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। (নিষেধাজ্ঞা) এই সময়টা আমার জীবনের খুবই হতাশাজনক অধ্যায়, কারণ এই জায়গায় আসতে কঠোর পরিশ্রম করেছি আমি।’

ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড থেকে দ্বিতীয় দফায় ২০২২ সালের জুলাইতে চার বছরের চুক্তিতে যোগ দেন পগবা। তাদের সঙ্গে ২০২৬ সালের জুন পর্যন্ত চুক্তি আছে তার। যদিও ইতালিয়ান ক্লাবটিতে যুক্ত হওয়ার পর থেকে ফ্রান্সের ২০১৮ বিশ্বকাপজয়ী এই ফুটবলার একের পর এক চোটে খুব বেশি ম্যাচ খেলতে পারেনি।

চোটের কারণে ২০২২ কাতার বিশ্বকাপেও ফরাসিদের জার্সি গায়ে তোলা হয়নি পগবার। একই কারণে ২০২২-২৩ মৌসুমে পাঁচ ম্যাচে সবমিলিয়ে ১৬২ মিনিট মাঠে ছিলেন। নিষেধাজ্ঞায় পড়ার আগে বদলি খেলোয়াড় হিসেবে খেলেছেন ৫১ মিনিট।

এএইচএস