৪৭তম ট্রফি জিততে রেকর্ড বিসর্জন দিতেও রাজি মেসি
পেশাদার ফুটবলে সর্বোচ্চ ট্রফি জয়ের দিক থেকে সবার শীর্ষে আছেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা লিওনেল মেসি। এবার তার সেই ট্রফি সংখ্যাকে বাড়িয়ে ৪৭–এ পরিণত করার সুযোগও হাতছানি দিচ্ছে। তবে সেই পথ এখনও বেশ দূরে, মেজর লিগ সকারে (এমএলএস) এখন পর্যন্ত মেসি-সুয়ারেজদের ইন্টার মায়ামি অবস্থান করছে সবার শীর্ষে। যেখানে পয়েন্টের দিক থেকেও ক্লাবটির সামনে একটি রেকর্ড গড়ার সুযোগ রয়েছে।
পোস্ট-সিজন ধাপে যাওয়ার আগে মায়ামির সামনে দুটি ম্যাচ রয়েছে টরোন্টো (৬ অক্টোবর) ও নিউ ইংল্যান্ডের (২০ অক্টোবর) বিপক্ষে। দুটি ম্যাচ ব্যাক টু ব্যাক জিততে পারলে জেরার্দো টাটা মার্টিনোর দলটির নামের পাশে থাকবে ৭৪ পয়েন্ট। এর আগে ২০২১ সালে রেভল্যুশন ক্লাব সর্বোচ্চ ৭৩ পয়েন্ট পেয়েছিল। তাদের সেই রেকর্ড ছাড়িয়ে যাওয়ার বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল মেসিকে। তিনি এমএলএসের ট্রফি জিততে সেই রেকর্ড ছেড়ে দিতেও রাজি বলে মন্তব্য করেছেন।
বিজ্ঞাপন
অ্যাপল টিভিকে দেওয়া এক মন্তব্যে মেসি বলেন, ‘পয়েন্ট রেকর্ড আমার কাছে সেকন্ডারি, গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে প্লে-অফে ভালো করা। প্রথমে আমাদের তিনটি ম্যাচ পেরোতে হবে, কিন্তু এরপর এলিমিনেশন কিংবা যেকোনো কিছুই হতে পারে। আমাদের এই মুহূর্তে বড় সুবিধা হচ্ছে (আসন্ন ম্যাচ) আমরা ঘরের মাঠে খেলতে পারব। যেখানে আমরা অনেক শক্তিশালী, তবে এখনও আমরা যে জিততে পারি সেটা এবারও প্রমাণ করতে হবে।’
এদিকে, গতকাল বৃহস্পতিবার মেসির জোড়া গোলে কলম্বাস ক্রুকে ৩-২ ব্যবধানে হারায় মায়ামি। সেই ম্যাচের কল্যাণে সাপোর্টার্স শিল্ড জিতে নেয় ইন্টার মায়ামি। এমএলএস–এ দুটি মূল ট্রফির একটি এই সাপোর্টার্স শিল্ড। আরেকটি হলো এমএলএস কাপ। নিয়মিত মৌসুমে ৩৪ ম্যাচজুড়ে সামগ্রিক পারফরম্যান্সে সবচেয়ে ধারাবাহিক দল পায় এই সাপোর্টার্স শিল্ড। মায়ামির প্রথমবার এই প্রাপ্তি মেসির ঝলমলে ক্যারিয়ারের ৪৬তম ট্রফি।
আরও পড়ুন
৩২ ম্যাচে ৬৮ পয়েন্ট নিয়ে সাপোর্টার্স শিল্ড নিশ্চিত করেছে মায়ামি। ২০২০ সালে মেজর লিগ সকারে যাত্রা শুরুর পর এই টুর্নামেন্টে তাদের প্রথম ট্রফি এটি এবং সবমিলিয়ে দ্বিতীয়। মায়ামিকে শিরোপা জিতিয়ে খুশি মেসি ম্যাচ শেষে অ্যাপল টিভিকে বলেছেন, ‘শিরোপা জিততে পেরে ভালো লাগছে। বছরের শুরুতেই আমরা জানতাম, এই দলটা শিরোপার জন্য লড়বে। সেই লড়াইটা আমরা শুরু থেকেই করেছি। কারণ, তেমন খেলোয়াড়ও আছে। প্রথম লক্ষ্য অর্জন করতে পেরে আমি খুশি, এখন সামনে পরবর্তী লক্ষ্য।’
এএইচএস