মাঠ কিংবা মাঠের বাইরে বারবার মেজাজ হারিয়ে শাস্তি পাওয়ার ঘটনা নতুন নয় জোসে মরিনিয়োর জন্য। তবে এবার যেভাবে জরিমানার মুখোমুখি হয়েছেন এমন অভিজ্ঞতা ২৪ বছরের ক্যারিয়ারে দেখেননি বলে তিনি নিজেই জানিয়েছেন। মূলত সংবাদ সম্মেলনে হাজির না হওয়ায় এই পর্তুগিজ কোচকে ৪০০০ ইউরো বা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৫ লাখ ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

বড় বড় জায়ান্ট ক্লাবের দায়িত্ব পালন শেষে মরিনিয়োর বর্তমান ঠিকানা তুরস্কের ক্লাব ফেনারবাখ। যেখানে গালাতাসারে ও তার দল ফেনারবাখের মধ্যে লড়াইয়ের পর সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত থাকার কথা ছিল সাবেক এই রিয়াল মাদ্রিদ কোচের। তবে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়েছে দাবি করে তিনি সেই স্থান ত্যাগ করে যান। তার আগে শনিবার তুর্কি সুপার লিগের ম্যাচে মরিনিয়োর দল ফেনারবাখ ৩-১ গোলে হেরে যায় গালাতাসারের কাছে।

পরবর্তীতে সংবাদ সম্মেলন স্থল ত্যাগ করে যাওয়ার কারণ জানিয়েছে পর্তুগিজ পত্রিকা ‘এ বোলা’। যেখানে মরিনিয়ো বলেন, ‘আমি সংবাদ সম্মেলনে ওকান বুরুকের জন্য অপেক্ষা করছিলাম, কিন্তু সেটি (অপেক্ষা) শেষই হচ্ছিল না। আমি কাউকে অসম্মান করিনি, বিপরীতে আমার নিজেকে অসম্মানিত মনে হয়েছে। ২৪ বছরে আমি কখনোই সংবাদ সম্মেলন কিংবা প্রশ্নের মুখোমুখি হওয়া থেকে পালিয়ে যাইনি। আমি জানি সফরকারী দলের কোচ প্রথমে সম্মেলনে যায়, কিন্তু তারও একটা সীমা থাকে। আমাকে সেদিন ৭০ মিনিট অপেক্ষা করতে হয়েছে। আমিও যখন অন্যদের মাঠে খেলতে যাই তখন প্রথমে সম্মেলনে যাই, তার মানে এই না যে ৭০/৭৫ মিনিট অপেক্ষা করব।’

ওই ঘটনার পর মরিনিয়োকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কৌতুকে মেতেছেন তুরস্কের ফুটবলভক্তরা। এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে এই ফেনারবাখ কোচ বলেন, ‘সমর্থক মানেই সমর্থক। আমরা তাদের মতামতের প্রতি সম্মান জানাই। আমার মতে বর্তমান বিশ্বে সমর্থকরা সামাজিক মাধ্যমের দ্বারা বেশি প্রভাবিত হয়ে পড়েন।’

এদিকে নিজেদের সামাজিক মাধ্যমের একাউন্টে ম্যাচের পর মরিনিয়োকে খোঁচা দিয়েছে প্রতিপক্ষ গালাতাসারেও। যেখানে তারা তার ‘দ্য স্পেশাল ওয়ান’ নিকনেমের মতো করে পরিবর্তিত একটি নাম নিজেদের কোচের জন্য ব্যবহার করেছে। ম্যাচে গালাতাসারে কোচ উল্লসিত এবং আরেকপাশে বিষন্ন অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছেন মরিনিয়ো। তেমনই একটি ছবি দিয়ে ক্লাবটি ক্যাপশনে লিখেছে– ‘দ্য উইনিং ওয়ান।’

এএইচএস