রোনালদোর বিশ্বরেকর্ড ভাগ বসালেন আর্লিং হালান্ড
৫ ম্যাচে ১০ গোল। নতুন মৌসুমে শুরুটা দুর্দান্ত আর্লিং হালান্ডের জন্য– সেটা অনায়াসে বলা চলে। অবশ্য হালান্ডের অভ্যাসই এমন। গোল করা যেন নিত্যদিনের স্বভাব এই নরওয়েজিয়ান স্ট্রাইকারের জন্য। ম্যানচেস্টার সিটিতে আসার পর থেকে কেবল গোলের টালিকে সমৃদ্ধ করেছেন তিনি। চলতি মৌসুমের প্রিমিয়ার লিগের কথাই ধরা যাক। এখন পর্যন্ত হওয়া পাঁচ ম্যাচের প্রতিটিতেই গোল করেছেন হলান্ড। এই ৫ ম্যাচের মধ্যে আছে দুটি হ্যাটট্রিকও।
সর্বশেষ রবিবার রাতে আর্সেনালের বিপক্ষে রুদ্ধশ্বাস ম্যাচটিতেও ম্যানচেস্টার সিটিকে এগিয়ে দেওয়া গোলটি করেছিলেন তিনি। এই গোলে মাইলফলক আর বিশ্বরেকর্ড দুটোই স্পর্শ করেছেন হলান্ড। সিটির হয়ে ১০০ করে ফেললেন নরওয়েজিয়ান স্ট্রাইকার। একই সঙ্গে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর এক বিশ্বরেকর্ডও নিজের করে নিয়েছেন তিনি। নির্দিষ্ট একটি ক্লাবের হয়ে দ্রুততম ১০০ গোল করায় এত দিন সবার ওপরে ছিলেন রোনালদো।
বিজ্ঞাপন
রোনালদো রেকর্ড করেছিলেন রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে। লস ব্লাঙ্কোসদের হয়ে ১০০ গোল করতে রোনালদোর লেগেছিল ১০৫ ম্যাচ। গতকাল রাতে সমান ম্যাচে সিটির হয়ে গোলের সেঞ্চুরি করলেন হলান্ডও। সাভিনিওর থ্রো পাস ধরে দারুণ ফিনিশিংয়ে ৯ মিনিটে সিটির হয়ে গোলটি করেন তিনি।
বরুসিয়া ডর্টুমুন্ডে খেলার সময়েই গোল করার দক্ষতার কারণে আলোচনায় আসেন হলান্ড। তারও আগে যুব বিশ্বকাপে একই ম্যাচে ৯ গোল করে বিশ্বকে নিজের অস্তিত্ব জানান দেন তিনি। জার্মান ক্লাব ডর্টমুন্ডে ৮৯ ম্যাচ থেকে ৮৬ গোল করেন হালান্ড।
কিন্তু সিটিতে এসে পেপ গার্দিওলার অধীনে নিজের অন্য এক রূপ হাজির করিয়েছেন হালান্ড। ম্যাচের পর ম্যাচে গোল করে ভেঙেছেন একের পর এক রেকর্ড। সময়ের হিসাবে এখন পর্যন্ত প্রতি ৮৫ মিনিটে একটি করে গোল করেছেন হালান্ড।
আরও পড়ুন
সিটির হয়ে হলান্ডের করা ১০০ গোলের ৭৩টিই এসেছে প্রিমিয়ার লিগে। এর বাইরে ১৮টি এসেছে চ্যাম্পিয়নস লিগে, ৮টি এফএ কাপে এবং ১টি এসেছে কারাবাও কাপে। একইভাবে ৭৩ গোল তিনি করেছেন বাঁ পায়ে, ১৪ গোল করেছেন ডান পায়ে, ১২টি করেছেন হেডে এবং ১টি করেছেন শরীরের পেছনের অংশ দিয়ে। এই ১০০ গোলের ১৮টি আবার এসেছে পেনাল্টি থেকে।
জেএ