আত্মবিশ্বাসের পালে কিছুটা বাড়তি হাওয়া নিয়েই ভারতে পা রেখেছিল বাংলাদেশ। পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ জয় নিশ্চিতভাবেই মানসিকভাবে ফুরফুরে রেখেছিল টাইগারদের। ভরসার নাম ছিল সাকিব আল হাসান। কাউন্টি ক্রিকেটে ১৩ বছর পরে ফিরেই বল হাতে ছিল সাকিবের ৯ উইকেট। চেন্নাইয়ের স্পিনিং উইকেটে সাকিব দারুণ কিছু করবেন– এটাই ছিল প্রত্যাশা। 

কিন্তু চেন্নাই যেন বাংলাদেশের আশাভঙ্গের হাট-বাজার। ব্যাটিং ব্যর্থতার চিত্র তো ছিলই। বল হাতেও সুসময়টা ছিল সেই প্রথম দিনের প্রথম দুই সেশন পর্যন্তই। এরপর অশ্বিন-জাদেজার ১৯৯ রানের সেই বিশাল জুটির কথা বাংলাদেশ ভুলে যেতে চাইবে নিশ্চিতভাবে। আর দ্বিতীয় ইনিংসে ছিল ঋষভ পান্ত-শুভমান গিলের জোড়া সেঞ্চুরি। 

এতকিছুর পরেও প্রশ্ন, দলের প্রয়োজনে বল হাতে সাকিব কোথায়? কাউন্টিতে যার কাছ থেকে ছিল ৯ উইকেট। দলের প্রয়োজনে করেছিলেন টানা ২৮ ওভার। কিন্তু দিন ছয়েক পরেই চেন্নাইয়ে সাকিব করেছেন মোটে ২১ ওভার। ছিল না কোনো উইকেট। কেন এমন দশা সাকিবের– সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজেছেন সবাই। আর সেটা পাওয়া গিয়েছে মুরালি কার্তিকের সুবাদে। 

ভারতের সাবেক এই বাঁহাতি স্পিনার সাকিবের সঙ্গে কথা বলেছেন তৃতীয় দিনে এসে। পরে ধারাভাষ্যে এসে সাকিবের সঙ্গে কী কথা হয়েছে, সেটাও জানিয়েছেন, ‘তাকে আমি দীর্ঘদিন ধরে চিনি। তাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, কী কারণে সে কম বোলিং করছে...সে আমাকে যা বলেছে, তা একজন স্পিনার হিসেবে আমি তা বুঝতে পারছি।’

এরপরই সাকিবের ইনজুরির কথা বলেন মুরালি কার্তিক, ‘তার বাঁ হাতের স্পিনিং ফিঙ্গারে একটা অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। সেটি এখন ফুলে গেছে, শক্ত হয়ে আছে। ওই আঙুলে সে বলের অনুভূতিটাও পাচ্ছে না। স্পিনার হিসেবে বলের অনুভূতিটা দরকার। এ ছাড়া তার কাঁধেও অস্বস্তি আছে।’
 
ধারাভাষ্যকক্ষে ছিলেন সাকিবের দীর্ঘদিনের সতীর্থ তামিম। মুরালি কার্তিকের এই ব্যাখ্যার পরেই টিম ম্যানেজমেন্ট নিয়ে তুলেছেন প্রশ্ন, ‘মুরালি কার্তিক বলে গেছে, আঙুলের সমস্যার কারণে সাকিব বল গ্রিপ করতে পারছে না। যদি তা-ই হয়, তাহলে বাংলাদেশ চারজন ফ্রন্টলাইন বোলার নিয়ে খেলছে। টিম ম্যানেজমেন্টের অবশ্যই জানানো উচিত, তারা এই ইনজুরির কথাটা আগে থেকেই জানত কি না।’

এদিকে সাকিবের ইনজুরির কথায় যোগাযোগ করা হয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরীর সঙ্গে। তিনি জানালেন ভিন্ন আরেক তথ্য। ঢাকা পোস্টকে বিসিবির প্রধান চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরি জানান, সাকিবের সার্জারি হলে তো জানতেন তিনি। এছাড়া সাকিবের সবশেষ ইনজুরি নিয়ে তার কাছে কোনো তথ্য নেই।

জেএ