আসন্ন নির্বাচনে ভোটাধিকার চেয়ে বাফুফেকে চিঠি দিয়েছে শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র লিমিটেড। আজ দুপুরের পর বাফুফে ভবনে শেখ রাসেল ক্লাবের পক্ষে এই চিঠি ফেডারেশনে দিয়েছেন ক্লাবটির কর্মকর্তা সালেহ জামান সেলিম।

২৬ অক্টোবর বাফুফে নির্বাচন। ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে বাফুফে তাদের অধীভুক্ত সংস্থা/সংগঠনের কাছে কাউন্সিলর চেয়ে চিঠি দিয়েছে। শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র এখনো সেই চিঠি পায়নি। এজন্যই মূলত বাফুফেকে চিঠি দিয়েছে ২০১২-১৩ মৌসুমে ট্রেবলজয়ী দলটি। শেখ রাসেল ক্লাবের ডাইরেক্টর ইনচার্জ বাফুফে সাধারণ সম্পাদক বরাবর লিখিত চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন। বাফুফের গঠনতন্ত্রের ২১ ধারা মোতাবেক শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র কাউন্সিলর চিঠি পাওয়ার অধিকার রাখে তাই ক্লাবটি বাফুফের কাছে কাউন্সিলর চিঠি দেয়ার অনুরোধ জানিয়েছে।

বিগত সময়ে নির্বাহী সভায় আনুষ্ঠানিকভাবে সিদ্ধান্ত হতো কোন প্রতিষ্ঠান/সংস্থা কাউন্সিলরশিপ পাবে। এবার বাফুফের নির্বাহী সভায় বিষয়টি উঠেনি বলে জানা গেছে। শেখ রাসেল, শেখ জামাল চলমান প্রিমিয়ার লিগে দলবদলে অংশগ্রহণ করেনি। সেই হিসেবে বাফুফে তাদের ভোটাধিকারও রাখেনি। কিন্ত এ নিয়ে আপত্তি শেখ রাসেলের কর্মকর্তা সালেহ জামানের, 'গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সর্বশেষ বা সমাপ্ত লিগের পয়েন্ট টেবিল অনুযায়ী ভোটাধিকার পাওয়ার কথা। বিগত নির্বাচনগুলোতে সেটাই হয়েছে। তিন মাস আগে সমাপ্ত লিগে শেখ রাসেল ষষ্ঠ হয়েছে। কাউন্সিলর হওয়া আমাদের অধিকার প্রয়োজনে ফিফায় জানাব।'

নির্বাচনের আগে কাউন্সিলরশিপ জটিলতা নতুন কিছু নয়। প্রতি নির্বাচনে কোনো সংগঠনের কাউন্সিলরশিপ পাওয়া না পাওয়া নিয়ে যেমন প্রশ্ন উঠে পাশাপাশি সংগঠন/সংস্থা থেকে কাউন্সিলরশিপ মনোনয়ন নিয়ে থাকে অভিযোগ। ২০১৬ সালের নির্বাচনে বাফুফে ভোটাধিকার দিয়েছিল কক্স সিটিকে। অথচ কক্স সিটি ২০১৩-১৬ পর্যন্ত ফুটবলেই ছিল না এমনকি ভোটাধিকার পাওয়ার পরও ফুটবলে আসেনি। বাফুফের নির্বাহী কমিটি ২১ জনের। সভাপতি, সিনিয়রসহ-সভাপতি, ৪ সহ-সভাপতি ও ১৫ জন নির্বাহী সদস্য কাউন্সিলরদের ভোটে নির্বাচিত হয়। বাফুফে ১৩৯ সংগঠনের কাছে কাউন্সিলর মনোনয়ন চেয়েছে। সংগঠনগুলো থেকে মনোনয়ন আসার পর বাফুফে নির্বাহী সভায় অনুমোদিত হবে। 

এজেড/এইচজেএস