মেসি-ডি মারিয়ার বিকল্প নিয়ে যা বলছেন স্কালোনি
একজন আন্তর্জাতিক ফুটবলকে বিদায় বলেছেন, আরেকজন আছেন ক্যারিয়ারের গোধূলি লগ্নে। আর্জেন্টিনা জাতীয় দল থেকে আনহেল ডি মারিয়ার বিদায়টা হয়েছে কোপা আমেরিকার চ্যাম্পিয়ন হয়ে। আর লিওনেল মেসি স্বপ্ন দেখছেন ২০২৬ বিশ্বকাপে খেলার। তবে ইনজুরি প্রবণ এই মহাতারকাকে আর হয়তো বেশি সময় পাবে না আলবিসেলেস্তেরা। মেসি-ডি মারিয়ার অনুপস্থিতিতে তাদের বিকল্প কে হবেন এমন প্রশ্ন উঠেছিল কোচ লিওনেল স্কালোনির কাছে।
সম্প্রতি ক্লাঙ্ককে দেওয়া এক দীর্ঘ সাক্ষাৎকারে তিনি এমন আরও অনেক প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন। এক পর্যায়ে আর্জেন্টিনা মেসি ও ডি মারিয়ার শূন্যতা কিভাবে পূরণ করবে– এমন প্রশ্নে বিশ্বকাপজয়ী কোচ স্কালোনি বলেন, ‘তারা অপরিবর্তনীয়, তারা এমন খেলোয়াড় যাদের প্রতিস্থাপন (বিকল্প কাউকে দিয়ে স্থান পূরণ) করা যায় না, অসম্ভব। কোনো সুযোগ নেই, ফিদেও (ডি মারিয়া) এবং লিও উভয়ই অনন্য খেলোয়াড়।’
বিজ্ঞাপন
ডি মারিয়ার প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘ফিদেও যে আর জাতীয় দলের জার্সি গায়ে তুলবে না সেটি ইতোমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছে। আমরা তার কোনো বিকল্প খোঁজার চেষ্টাও করিনি, কারণ এটি ভুল হবে যে, তার মতো কাউকে খুঁজে বের করা, এমন কেউ নেই। যদিও এটি সত্যিকারভাবে মেনে থাকি, তাহলে রাইট এবং লেফট উভয় উইংয়ে আমাদের উপযুক্ত কাউকে দরকার, যদিও আমদের বেশিরভাগই লেফটের চেয়ে রাইটে খেলে থাকে। লেফট উইংয়ে খেলতে এমন ফুটবলার আমাদের দলেও আছে বলে মনে হয়, যে দলের গভীরতা বাড়াবে।’
— Roy Nemer (@RoyNemer) September 16, 2024
এদিকে, বয়স বেড়ে ৩৭–এ দাঁড়িয়েছে মেসির। যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো ও কানাডায় হতে যাওয়া ২০২৬ বিশ্বকাপে তার খেলার সম্ভাবনা থাকলেও, চোট তার পেছনে লেগে রয়েছে। যে কারণে জাতীয় দলের হয়ে চিলি ও কলম্বিয়ার বিপক্ষে খেলতে পারেননি মেসি। সেখানে চিলির বিপক্ষে জয় পেলেও দলটি হেরে যায় কলম্বিয়ার বিপক্ষে। মেসি-ডি মারিয়ার অনুপস্থিতি ভালোভাবেই টের পেয়েছে আলবিসেলেস্তে শিবির।
এমন অবস্থায় দলের প্রয়োজনীয় দিক তুলে ধরেছেন স্কালোনি, ‘ওয়ান টু ওয়ানে, খেলা বুঝতে পারা, ছকের বাইরে থেকে দুর্দান্ত খেলতে পারার দক্ষতা, এসব সেই (ডি মারিয়া) করতে পারতো। আমি বলছি না যে সব বদলে ফেলতে হবে। খেলার ধরনটা বদলে ফেলা যেতে পারে যেহেতু সে তো এখন নেই।’ আর্জেন্টাইন কোচের এমন মন্তব্যের প্রতিফলন অবশ্য তাদের শেষ দুই ম্যাচেও দেখা গেছে। যেখানে চিরাচরিত ৪-৩-৩ এর পরিবর্তে সামনে হুলিয়ান আলভারেজ ও লাউতারো মার্টিনেজকে রেখে ৪-৪-২ পদ্ধতিতে খেলিয়েছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন
আবার, নিকো গঞ্জালেজের উপস্থিতিতে আলভারেজ ডান উইংয়ে চলে গিয়ে মাঝেমধ্যে আক্রমণ ৪-৩-৩ এ রূপান্তরিত হয়েছিল। অর্থাৎ দলে আগের কম্বিনেশনটা সাম্প্রতিক সময়ে পুরোটা ধরে রাখতে পারেননি আর্জেন্টাইন কোচ। যদিও বিশ্বকাপ বাছাইয়ের টেবিলে এখনও তার শিষ্যরা শীর্ষস্থানেই আছে। ৮ ম্যাচে ৬ জয় ও ২ হার নিয়ে তাদের পয়েন্ট ১৮। সমান ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে কলম্বিয়া। এরপর যথাক্রমে অবস্থান উরুগুয়ে, ইকুয়েডর ও ব্রাজিলের।
এএইচএস