৩৭ বছর বয়সেও একের পর এক রেকর্ড গড়ে চলেছেন লিওনেল মেসি। বিশ্বকাপজয়ী এই আর্জেন্টাইন আজ (রোববার) মাঠে ফিরলেন দুই মাস দু’দিন পর। ইন্টার মায়ামির হিসাবে সেই সময়টা তিন মাসেরও বেশি। ১ জুনের পর মেজর লিগ সকারে (এমএলএস) খেলতে নেমে ফ্লোরিডার ক্লাবটির হয়ে তিনি একটি রেকর্ড গড়েছেন। মায়ামিকেও জিতিয়েছেন ৩-১ গোলে।

ফিলাডেলফিয়া ইউনিয়নের বিপক্ষে ম্যাচটিতে দুটি গোল ও এক অ্যাসিস্ট করেছেন মেসি। এ নিয়ে এমএলএসে ১৯তম ম্যাচ খেললেন আলবিসেলেস্তে ফরোয়ার্ড। লিগটিতে তিনি ১৫ গোল ও ১৫ অ্যাসিস্ট করে ফেলেছেন ইতোমধ্যে, যা এমএলএসের ইতিহাসে সবচেয়ে দ্রুততম। সমান সংখ্যক গোলের রেকর্ড গড়া সেবাস্তিয়ান জিওভিনকোর লেগেছিল ২৯ ম্যাচ। অর্থাৎ ১০ ম্যাচ কম খেলেই মেসি তার সেই রেকর্ড ভেঙে দিয়েছেন।

আর্জেন্টাইন অধিনায়ক প্রথমার্ধের মাঝামাঝিতে ৪ মিনিটের মধ্যেই জোড়া গোল করে মায়ামিকে দারুণভাবে ম্যাচে ফেরান। এর আগে সফরকারী ফিলাডেলফিয়া এগিয়ে যায় মাত্র তিন মিনিটেই। মেসিকে দুটি গোলের যোগান দিয়েছেন সাবেক দুই বার্সেলোনা সতীর্থ লুইস সুয়ারেজ ও জর্দি আলবা। ২৬ মিনিটে সেন্ট্রাল বক্সে প্রতিপক্ষের একজনকে কাটিয়ে ডান পায়ে শট নেন। এরপর ৩০ মিনিটে আলবার বাড়ানো বল এক স্পর্শে জালে জড়ান মেসি।

ম্যাচে নিজের দ্বিতীয় গোলটি ছিল পেশাদার ক্যারিয়ারের ৮৪০তম গোল। যা সবচেয়ে কম বয়সী হিসেবে গোলের রেকর্ড বলে উল্লেখ করা হচ্ছে। গোলের দিক থেকে মেসির সামনে আছেন কেবল একজন, তারই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। কয়েকদিন আগে এই পর্তুগিজ সুপারস্টার ক্যারিয়ারের ৯০০তম গোল করেছেন।

গোলের পাশাপাশি মেসি আজ একটি অ্যাসিস্ট করে প্রত্যাবর্তন ম্যাচের পুরো আলো কেড়ে নিয়েছেন। যোগ করা সময়ে তার বাড়ানো পাসে গোল করেন উরুগুইয়ান তারকা সুয়ারেজ। যা মায়ামিকে দেয় বড় জয়, একইসঙ্গে এমএলএসের ইস্টার্ন কনফারেন্সে দুইয়ে থাকা এফসি সিনসিনাতির সঙ্গে ব্যবধান বাড়ায় ১০ পয়েন্টের। চলতি মৌসুমে লিগে ২৮ ম্যাচে ১৯ জয় ও ৫ ড্রয়ে মায়ামির পয়েন্ট ৬২।

এএইচএস