২০২৬ বিশ্বকাপের ফাইনালে খেলার ঘোষণাটা বোধকরি একটু আগেভাগেই দিয়ে ফেলেছিলেন ব্রাজিলের কোচ দোরিভাল জুনিয়র। দলের বর্তমান অবস্থা খুব একটা ভালো নেই। তবু বেশ আত্মবিশ্বাসের সঙ্গেই দোরিভাল বলেছিলেন, ব্রাজিল বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলবে এই নিয়ে তিনি নিশ্চিত। সেলেসাওরা ফাইনাল খেলবে কি না তা বলা অবশ্য বেশ কঠিন। কারণ বাছাইপর্বেই যে সুবিধাজনক অবস্থানে নেই তারা। 

পরিসংখ্যান বলছে, জয় পরাজয়ের নিরিখে এটাই ব্রাজিলের বাছাইপর্বের সবচেয়ে বাজে ফলাফল।  ২০০৩ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ৭১ ম্যাচ খেলে মাত্র ৫টিতে হেরেছিল ব্রাজিল। কিন্তু এবার ২০২৬ বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ৮ ম্যাচ খেলেই ৪ হার। বোঝাই যাচ্ছে দোরিভাল জুনিয়রের সামনের সময়টা খুব একটা সহজ নয়। 

বাছাইপর্বে ব্রাজিল এই মুহূর্তে ৮ ম্যাচ শেষ করে আছে ৫ম স্থানে। ৮ ম্যাচে ৪ হারের সঙ্গে আছে ৩ জয় আর ১ ড্র। সংগ্রহে ১০ পয়েন্ট। ব্রাজিলের গণমাধ্যম জানাচ্ছে, দক্ষিণ আমেরিকান অঞ্চলের বাছাইপর্বের বিচারে এটাই ব্রাজিলের সবচেয়ে বাজে দল! এর আগে কখনোই শুরুর ৮ ম্যাচ পর্যন্ত এতটা বিধ্বস্ত ছিল না ব্রাজিল। 

সবশেষ এমন বিধ্বস্ত অবস্থা ছিল ২০১০ বিশ্বকাপ বাছাইয়ের আগে, কার্লোস দুঙ্গার অধীনে। ১৯৯৪ বিশ্বকাপজয়ী ব্রাজিল দলের অধিনায়ক দেশের কোচ পদে ছিলেন ব্যর্থতার প্রতিচ্ছবি। সেবারে সেবার ৮ ম্যাচ শেষে ব্রাজিলের সংগ্রহ ছিল ১৩ পয়েন্ট। ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে নবম ম্যাচে ৪-০ গোলের জয়ে ব্রাজিলের সংগ্রহ দাঁড়িয়েছিল ১৬ পয়েন্ট।

আগামী অক্টোবরে চিলির বিপক্ষে নিজেদের নবম ম্যাচটি খেলবে দরিভালের দল। ওই ম্যাচটি জিতলে ৯ ম্যাচে ব্রাজিলের সংগ্রহ দাঁড়াবে ১৩ পয়েন্ট। তবে সেটাও ব্রাজিলকে যে খুব একটা স্বস্তিতে দেবে তার নিশ্চয়তা নেই। নিজেদের শেষ ৭ ম্যাচে একবারই কেবল ২ গোলের বেশি করেছিল সেলেসাওরা।

অবশ্য সংখ্যতত্ত্ব ব্রাজিলের অবস্থা যতই নাজুক প্রমাণ করুন না কেন, বিশ্বকাপ নিয়ে খুব একটা শঙ্কা নেই ব্রাজিলের জন্য। নতুন করে বিশ্বকাপে দল বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ফিফা। যে কারণে বাড়ছে কনমেবল অঞ্চল থেকে বিশ্বকাপে অংশগ্রহণকারীদের সংখ্যা। নতুন নিয়মে দক্ষিণ আমেরিকা থেকে ৬ দল সরাসরি যাবে বিশ্বকাপে। আর ৭ম দল খেলবে আন্তঃমহাদেশীয় প্লে-অফ। দলের বাজে অবস্থাতেও ব্রাজিল ভক্তরা তাই কিছুটা স্বস্তি অন্তত পেতেই পারে।

জেএ