র‍্যাঙ্কিং বলছে ফুটবল বিশ্বের সবচেয়ে বাজেদল তারা। চারদিকে ইতালি বেষ্টিত ৬১ বর্গ কিলোমিটারের দেন সান মারিনো নিজেদের ফুটবল ইতিহাসে সবশেষ ম্যাচ জেতে ২০০৪ সালে। এরপর থেকে টানা ১৪০ ম্যাচ হেরেছে তারা। 

সেই দলটাই উয়েফা নেশন্স লিগে পেল মন ভরানো এক জয়। লিখটেনস্টাইনকে ১-০ গোলে হারিয়ে ছেদ টানল ১৪০ ম্যাচ পরাজিত থাকার রেকর্ডে। অবাক করা বিষয়, ২০০৪ সালে নিজেদের সবশেষ ম্যাচটাও তারা জেতে এই লিখটেনস্টাইনের বিপক্ষে। ম্যাচের ৫৩ মিনিটে নিকো সেনসোলির গোলে জয় নিশ্চিত করে সান মারিনো।

বিশ্বের পঞ্চম ছোট দেশ সান মারিনোকে ঘিরে আছে ইতালি। দেশটির জনসংখ্যাও মাত্র ৩৩ হাজার। এমনকি ৬১ বর্গকিলোমিটার আকৃতির দেশটি আকারে ইংল্যান্ডের শহর ম্যানচেস্টারের অর্ধেক। ফিফা র‍্যাঙ্কিংয়ে তাকালে দেখা যাবে এটি ফুটবল বিশ্বের সবচেয়ে বাজে দল। ২০৫টি ম্যাচের মধ্যে ১৯৬টি ম্যাচেই হেরেছে তারা। 

 ১৯ বছর বয়েসী সেনসোলির গোলের পেছনেও অবশ্য ভাগ্যের হাত আছে। ইতালিয়ান ফুটবলে চতুর্থ বিভাগে সেমি-প্রফেশনাল লিগের ক্লাবে খেলেন তিনি। ম্যাচে লিখটেনস্টাইন ডিফেন্ডার সান্দ্রো ওয়েজারের ভুলে বল পেয়ে তা থেকে সহজ গোল করেন সান মারিনোর এই মিডফিল্ডার।

গোলের পরপরই ছুটে আসেন সতীর্থরা। পুরো স্টেডিয়ামে তখন রীতিমতো গর্জন চলছে। এরপরই পুরোপুরি ডিফেন্সিভ খেলা উপহার দেয় সান মারিনো। ৯০ মিনিটের পর যোগ করা হয় আরও ৮ মিনিট। সেখানেও লিখটেনস্টাইন গোল করতে পারেনি। 

ম্যাচ শেষের বাঁশি বাজতেই উল্লাসে ফেটে পড়ে সান মারিনোর মাঠ স্তাদিও অলিম্পিকো। ফুটবলারদের মধ্যেও চলতে থাকে উল্লাস। আর মাঠেই গড়িয়ে পড়ে লিখটেনস্টাইনের ফুটবলাররা। ১৯৯ র‍্যাঙ্কিংয়ে থাকা দলটাও ব্যাপক হতাশ এমন এক হারে। তারাও যে জয়ের মুখ দেখেনি গত ৪০ ম্যাচে। 

জেএ/এইচজেএস