প্রথমার্ধের ৪৫ মিনিটের খেলা শেষ। ৩ মিনিট ইনজুরি সময়ের খেলা চলছে। আকস্মিকভাবে বাংলাদেশের ফরোয়ার্ড রাকিব হোসেন ভুটানের অর্ধে একাই পড়ে যান। রেফারির দৃষ্টি আকর্ষণ হওয়ার পরই খেলা থামান। সতীর্থ খেলোয়াড়রা এগিয়ে গেলেও রাকিবের পরিস্থিতি উন্নতি হয়নি। খেলা সচলের জন্য রেফারি স্ট্রেচার ডাকেন।

দ্রুতগতিতে স্ট্রেচার নিয়ে যিনি গিয়েছিলেন। তিনিই আকস্মিক অসুস্থ হয়ে পড়েন। রাকিবের চেয়ে তার অবস্থা হয় গুরুতর। অচেতন অবস্থায় থাকা সেই ব্যক্তিকে পরবর্তীতে অ্যাম্বুলেন্স করে স্টেডিয়াম ত্যাগ করা হয়।

রাকিব ধীরে ধীরে পায়ে হেটে মাঠ ছাড়েন। তার পরিবর্তে শাহরিয়ার ইমনকে নামায় বাংলাদেশ। বাংলাদেশ টিমের মিডিয়া ম্যানেজার খালিদ মাহমুদ নওমী রাকিব ও ভুটানের সহায়তাকারীর সর্বশেষ অবস্থা সম্পর্কে থিম্পু থেকে বলেন, ‘রাকিব এখন স্বাভাবিক রয়েছে। রাকিবকে সহায়তা করতে যাওয়া ভুটানের একাডেমীর ব্যক্তি এখন হাসপাতালে। যতটুকু শুনেছি এখনো জীবিত ও জ্ঞান রয়েছে। তিনি চিকিৎসাধীন।’

এর আগে ম্যাচের মাত্র পাচ মিনিটেই লিড পায় বাংলাদেশ। এই লিডের পেছনে বাংলাদেশের ফরোয়ার্ডের কৃতিত্বের চেয়ে ভুটানের গোলরক্ষকের ব্যর্থতাই বেশি। ডান প্রান্ত থেকে বাংলাদেশের ক্রস বক্সে গ্রিপে নিতে পারেননি ভুটানি গোলরক্ষক। হাত ফস্কে বল পড়ে মোরসালিনের পায়ে। মোরসালিন একটু সামনে এগিয়ে জালে বল পাঠাতে ভুল করেননি। ডিফেন্ডার গোল লাইন সেভ করার চেষ্টা করেও পারেননি।

এজেড/জেএ