তিন ম্যাচে গোল নেই। রিয়াল মাদ্রিদে আসার জন্য কিলিয়ান এমবাপে চেষ্টা করেছিলেন অনেকগুলো দিন। এরপর এসেছেন বেশ কাঠখড় পুড়িয়ে। উয়েফা সুপার কাপ জিতে শুরুটাও করেছেন দারুণ। কিন্তু ঘরোয়া লিগে প্রথম তিন ম্যাচে রইলেন নিষ্প্রভ। বরং সতীর্থদের পাস না দিয়ে হয়েছেন স্প্যানিশ মিডিয়ার সমালোচনার পাত্র। শেষ পর্যন্ত চতুর্থ ম্যাচে এসেছে লা লিগায় গোলখরা কাটালেন এমবাপে। 

টানা তিন ম্যাচ গোলহীন থাকার পর চতুর্থ ম্যাচে এসে রিয়ালের জার্সিতে গোলের দেখা পেলেন ফরাসি তারকা। তার জোড়া গোলে বেতিসের বিপক্ষে রিয়াল মাদ্রিদ জিতেছে ২-০ ব্যবধানে। রিয়ালও মাঝে পয়েন্ট হারিয়ে আবার ফিরল জয়ের ধারায়। 

ঘরের মাঠে এস্তাদিও সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে প্রথম থেকেই দারুণ দাপুটে ফুটবল উপহার দিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। পুরো ৪৫ মিনিটই ব্যস্ত থাকতে হয়েছে বেতিসের রক্ষণভাগকে। পাল্টা আক্রমণ করলেও সফরকারীরা সুবিধা করতে পারেনি। বিপরীতে গোলমুখে ১৩ শট নিয়েও হতাশ হয়েছে রিয়াল। 

ম্যাচের ৬৭ মিনিটে ফেদেরিকো ভালভার্দের পাস থেকে প্রথম গোল করেন এমবাপে। ৮ মিনিট পর নিজের ও দলের দ্বিতীয় গোলটি করেন পেনাল্টি থেকে। বল নিয়ে বক্সে ঢুকে পড়া ভিনিসিয়ুসকে বেতিস গোলরক্ষক ফেলে দিলে প্রথমে অফসাইডের পতাকা তুলেছিলেন লাইন্সম্যান।

পরে ভিএআরের সাহায্যে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। আগের ম্যাচে পেনাল্টি কিক নেওয়া ভিনিসয়ুস এবার নিজেই এই দায়িত্ব দেন এমবাপেকে। স্পটকিক থেকে গোল করতে ভুল করেননি এমবাপে। ম্যাচ শেষে ফ্রান্সের হয়ে বিশ্বকাপ জেতা এই তারকা বললেন, ‘আমি সারা জীবনই গোল করেছি, ভবিষ্যতেও করব। গোল আসবেই। টানা তিন ম্যাচে গোল না পাওয়াটা আমার জন্য বড় ব্যাপারই ছিল। কিন্তু এমনটা হতেই পারে। আমার ওপর সতীর্থদের আত্মবিশ্বাস আছে।’

লিগ মৌসুমে চার ম্যাচে এটি রিয়ালের দ্বিতীয় জয়। ৮ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলে তাদের অবস্থান দুইয়ে। ১২ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে বার্সেলোনা। রিয়ালের সমান ৮ পয়েন্ট নিয়েও গোল ব্যবধানে পিছিয়ে অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদ তিন এবং ভিয়ারিয়াল চারে অবস্থান করছে।

জেএ