কোপা আমেরিকার ফাইনালে ইনজুরিতে পড়ার পর আর মাঠে নামা হয়নি আর্জেন্টাইন অধিনায়ক লিওনেল মেসির। ডান পায়ের অ্যাঙ্কলে চোটের কারণে তিনি মাঠের বাইরে আছেন প্রায় দেড় মাস। এতদিন পর্যন্ত তার মাঠে ফেরার সময়ও স্পষ্টভাবে জানা যাচ্ছিল না। সে কারণে তাকে বাইরে রেখেই আর্জেন্টিনা আসন্ন দুটি বিশ্বকাপ বাছাইয়ের দল সাজায়। এবার ভক্তদের দুরাশা কাটিয়ে মেসি ইন্টার মায়ামির অনুশীলনে ফিরেছেন। 

কোপার পর গতকাল (বুধবার) প্রথমবার এই মায়ামি তারকা গ্রুপ অনুশীলনে নামেন। তবে এখন পর্যন্ত পুরোদমে মাঠে নামার সময় জানা যায়নি মেসির। যদিও গত শুক্রবার মায়ামি কোচ জেরার্দো মার্টিনো এমএলএসের (মেজর লিগ সকার) প্লে-অফ ম্যাচের আগে তার মাঠে ফেরার প্রত্যাশা জানিয়েছিলেন। 

সংবাদ সংস্থা এপি’র বরাতে ইএসপিএন বলছে, ইন্টার মায়ামি এরপর শনিবার শিকাগোয় সফর করে। এমএলএসে ক্লাবটির পরবর্তী ম্যাচ ১৪ সেপ্টেম্বর ফিলাডেলফিয়ায়। ওই সপ্তাহেও যদি মেসি খেলতে না পারেন, তার মানে তাকে আরও দুই সপ্তাহ মাঠের বাইরে থাকতে হবে। ওই সময়েও পুনর্বাসন প্রক্রিয়ায় ব্যস্ত থাকবেন তিনি। এদিকে, বিশ্বকাপ বাছাইয়ের দুটি ম্যাচের জন্য দল ঘোষণা করেছেন আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী কোচ লিওনেল স্কালোনি। সেই দলে নেই মেসির নাম।

মেসি ও ড্রেক ক্যালেন্ডার

গতকাল মেসি দলের সঙ্গে অনুশীলনে ফিরতে দেখে খুশি মায়ামি সতীর্থরা। এ নিয়ে গোলরক্ষক ড্রেক ক্যালেন্ডার বলছেন, ‘তাকে ফের মাঠে দেখার অনুভূতি দারুণ। আমি দেখেছি তাকে প্রতিটি দিনই পায়ের চিকিৎসা নিতে হয়েছে, যা নিয়েই পায়ের স্বাভাবিক অনুশীলন করতে হয়। যদিও আগে থেকেই তার এমন অভিজ্ঞতা ছিল। এখনও নিজের সর্বোচ্চ চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন তিনি। কোপায় যে ভয়ঙ্কর চোট দেখেছি, সেই অবস্থা কাটিয়ে আবারও এই সিজনে ফেরার মতো পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার মানে এখানে তার যত্নটা সেভাবেই হচ্ছে।’

এমএলএসে এখন পর্যন্ত ১২ ম্যাচ খেলেছেন মেসি, যেখানে ১২ গোলের সঙ্গে তার অ্যাসিস্ট ১৩টি। এর মাঝে অবশ্য চোট আর আন্তর্জাতিক সূচির কারণে তিনি ১৪টি ম্যাচ মিস করেছেন। এ ছাড়া লিগস কাপেও তিনি মায়ামির চারটি ম্যাচেই ছিলেন না। এক বছর আগে এই টুর্নামেন্টটিতে চ্যাম্পিয়ন হতে বড় অবদান ছিল এই মহাতারকার, এবার তার অনুপস্থিতিতে মায়ামি বিদায় নিয়েছে শেষ ষোলো থেকেই। 

গত ১৪ জুলাই শেষবার খেলেছিলেন মেসি, কলম্বিয়ার বিপক্ষে কোপার ফাইনালে তিনি দ্বিতীয়ার্ধের পর চোটে পড়েন। যা তাকে আর মাঠে নামতে দেয়নি, অঝোর ধারায় তিনি কেঁদেছেন ডাগআউটে বসে। পরে পায়ের গোড়ালিও ফুলে যায় ভয়ঙ্করভাবে। আগামী ১৪ সেপ্টেম্বরের ম্যাচেও যদি মেসি মায়ামির জার্সি গায়ে চাপাতে না পারেন, তখন তার মাঠের বাইরে থাকার দুই মাস পূর্ণ হবে। তাকে দ্রুত সময়ে মাঠে পাওয়াটা বড় কিছু বলে ভাষ্য সতীর্থ ক্যালেন্ডারের, ‘আমরা তাকে যত দ্রুত মাঠে দেখতে চাই, সেটি হবে আমাদের জন্য বড় কিছু্।’

এএইচএস