কোপা আমেরিকা শেষ হয়েছিল গত জুলাই মাসের ১৫ তারিখ। এরইমাঝে জাতীয় দলের সেই ক্যাম্প শেষ করে ক্লাব ফুটবলের নতুন মৌসুমে ফিরে গিয়েছেন ফুটবলাররা। লম্বা সময় পর সেই প্রতিযোগিতায় মারামারি শাস্তি পাচ্ছেন উরুগুয়ের ১১ ফুটবলার। কলম্বিয়ার বিপক্ষে সেমিফাইনালে হারের পর গ্যালারিতে থাকা দর্শকদের সঙ্গে মারামারিতে জড়িয়ে পড়েন উরুগুয়ের তারকারা। সেটারই শাস্তি এলো লম্বা সময় পর। 

ব্যাংক অব আমেরিকা স্টেডিয়ামের সেই সেমিফাইনালে কলম্বিয়ার কাছে ১-০ গোলে হেরেছিল উরুগুয়ে। ম্যাচ শেষ হওয়ার পর গ্যালারিতে কলম্বিয়ার সমর্থকরাদের কটু বাক্যের মাঝে পড়ে যান উরুগুয়ের কয়েকজন খেলোয়াড়ের পরিবারের সদস্যরা। বিষয়টিকে সহজভাবে নিতে পারেননি ডারউইন নুনিয়েজসহ উরুগুয়ের বাকি খেলোয়াড়রা। 

এসময় কলম্বিয়ার সমর্থকদের সঙ্গে মারামারিতে জড়িয়ে পড়েন নুনিয়েজসহ দলটির আরও কয়েক খেলোয়াড়। এ ঘটনায় সবচেয়ে বড় শাস্তি দেয়া হয়েছে লিভারপুলে খেলা এই তারকাকে। নুনিয়েজকে ৫ ম্যাচ নিষিদ্ধ করার পাশাপাশি ২০ হাজার ডলার জরিমানাও করেছে দক্ষিণ আমেরিকান ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা কনমেবল।

এছাড়া অন্য চার খেলোয়াড়কেও নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তদন্তের পর সব মিলিয়ে উরুগুয়ের ১১ খেলোয়াড়কে শাস্তি দিয়েছে কনমেবল। উরুগুয়ের মিডফিল্ডার রদ্রিগো বেন্টাঙ্কুর নিষিদ্ধ হয়েছেন ৪ ম্যাচ। ৩ ম্যাচ করে নিষিদ্ধ হয়েছেন তিন ডিফেন্ডার ম্যাথিয়াস অলিভেরা, রোনাল্ড আরাউহো ও হোসে মারিয়া হিমিনেজ। চারজনকে জরিমানা করা হয়েছে ১২ থেকে ১৬ হাজার ডলারের মধ্যে। বেন্টাঙ্কুরকে দিতে হচ্ছে ১৬ হাজার ডলার শুধু জরিমানা করা হয়েছে অন্য ছয় খেলোয়াড়কে।

 

শাস্তি দেওয়া হয়েছে উরুগুয়ে ফুটবল ফেডারেশনকেও। তাদের ২০ হাজার ডলার জরিমানা করা হয়েছে। এই অর্থ প্রাইজমানি ও রাজস্ব থেকে কেটে নেওয়া হবে। কনমেবলের এই শাস্তির বিরুদ্ধে আপিল করার সুযোগ রয়েছে। তবে দক্ষিণ আমেরিকান ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি বিবৃতিতে জানায়নি, এই শাস্তি কবে থেকে কার্যকর হবে। কনমেবল আয়োজিত ম্যাচ এই শাস্তির আওতাভুক্ত থাকবে। 

ফ্লোরিডায় আগামী রোববার প্রীতি ম্যাচে গুয়াতেমালার মুখোমুখি হবে উরুগুয়ে। এরপর বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ঘরের মাঠে ৬ সেপ্টেম্বর প্যারাগুয়ে এবং ১০ সেপ্টেম্বর ভেনেজুয়েলার মুখোমুখি হবে উরুগুয়ে।