বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় খেলা ফুটবল। দেশের ক্রীড়াঙ্গনে ইতিহাস-ঐতিহ্যের অনেকাংশ জুড়ে ফুটবল থাকলেও আন্তর্জাতিক সাফল্য খুব বেশি নেই। বিদেশের মাটিতে আন্তর্জাতিক সাফল্যের মধ্যে নেপাল সবচেয়ে এগিয়ে। আবার, নেপালের কাঠমান্ডু বাংলাদেশের ফুটবলে অন্যতম পয়মন্ত (সৌভাগ্যের প্রতীক) ভেন্যু।

বাংলাদেশের ফুটবলে অন্যতম বড় অর্জন ১৯৯৯ সালের সাফ গেমসের ফুটবলে স্বর্ণ। কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে আলফাজ আহমেদের গোলে বাংলাদেশ এসএ গেমস ফাইনালে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। বাংলাদেশের অন্যতম ঐতিহাসিক অর্জন সেটি।

নারী ফুটবল দল গত এক যুগে বেশ অগ্রসর হয়েছে। জুনিয়র দল বেশ কয়েকটি সফলতা পেলেও সিনিয়র দলের একমাত্র বড় সাফল্য এসেছে সেই কাঠমান্ডুর দশরথেই। ২০২২ সালে স্বাগতিক নেপালকে হারিয়েই সাবিনা খাতুনরা সাফ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল।

সিনিয়রদের পর জুনিয়র পর্যায়ে চলতি বছর নেপালের কাঠমান্ডু থেকেই আরও দুটি চ্যাম্পিয়ন ট্রফি এসেছে। সাফ অ-১৬ নারী টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ এই কাঠমান্ডুতেই চ্যাম্পিয়ন হয়। মার্চে ইয়ারজানদের শিরোপা জেতার পাঁচ মাসের মধ্যেই এবার মিরাজুলরা চ্যাম্পিয়ন হলেন অ-২০ এ। দুটি ম্যাচই কাঠমান্ডুতে হলেও ভেন্যু অবশ্য ভিন্ন।

নেপালে অনেক সাফল্যের সঙ্গে জড়িয়ে আছে একটা ছোট্ট ট্র্যাজেডিও। ২০১৪ সালে নেপালে ভয়াবহ ভূমিকম্প হয়েছিল। সেই ভূমিকম্পের সময় বাংলাদেশ নারী অ-১৫ দল নেপালেই ছিল। ভূমিকম্পের জন্য সেই টুর্নামেন্ট স্থগিত হয়। ফলে যুগ্ম চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বাংলাদেশ।

বাংলাদেশ সিনিয়র পুরুষ দলের প্রথম আন্তর্জাতিক ট্রফিটি আসে ১৯৯৫ সালে। সেই টুর্নামেন্ট হয়েছিল মিয়ানমারে। আরেকটি বড় ট্রফি অর্জন ২০০৩ সালের ঢাকা সাফে। এরপর সিনিয়র পুরুষ দলের বড় অর্জন সেই অর্থে নেই। গত এক যুগে নারী ফুটবলাররা বয়সভিত্তিক পর্যায়ে শিরোপা জিতেছে কয়েকটি। এর বেশ কয়েকটি ঢাকায় কমলাপুর স্টেডিয়ামে। দেশের বাইরের মধ্যে একটি ভুটান আর দুটি নেপালে।

এজেড/এএইচএস