২০১০ সালে বাংলাদেশের ফুটবলে বেশ একটা পরিবর্তনের ডাক দিয়েই আবির্ভাব ঘটেছিল শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের। কেবল ধানমন্ডি ক্লাব নামে পরিচিত দলটা সেই বছর থেকেই রাতারাতি হয়ে যায় শেখ জামাল ক্লাব। এরপরের গল্পটা বেশ চেনা। একটা সময় দেশের ফুটবলে আধিপত্য দেখিয়েছিল তারা। শেখ রাসেল ক্রীড়াচক্রও কম যায়নি। ২০১২-১৩ মৌসুমে ঘরোয়া ফুটবলের ট্রেবল জয় করেছিল তারা। 

তবে নামের ভারে আর স্পন্সরে পরিপূর্ণ এই দুই ক্লাব এখন অনেকটাই অভিভাবকহীন। সরকারের পরিবর্তনের পর ধ্বংসস্তুপ হয়েছে শেখ জামাল। আর শেখ রাসেল থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে মালিকপক্ষ। এমনকি ক্লাবের নাম পরিবর্তনের কথাও উঠেছে। শেখ রাসেল বাফুফে বরাবর চিঠি দিয়ে জানিয়ে দিয়েছে, এ মৌসুমে তারা দল গঠন করবে না। শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবকে নিয়েও শঙ্কা রয়েছে। 

এমন জটিল অবস্থার মাঝে ক্লাবের নাম পরিবর্তনের আলাপই শোনা যাচ্ছে জোরেশোরে। তবে বর্তমান যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব সবুজ সংকেত দিয়েছেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনকে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের এই উপদেষ্টা জানিয়েছেন, শেখ জামাল এবং শেখ রাসেল ক্রীড়াচক্র নিজেদের নামেই ক্লাবের কার্যক্রম এবং ফুটবল লিগে নিজেদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে পারবে। 

ক্রীড়া উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে বাফুফে সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। বাফুফে ভবনে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘এ দুটি ক্লাব যদি নিজেদের নাম পরিবর্তন করতে চায়, তাহলে সেটি তাদের ব্যাপার। তবে ক্রীড়া উপদেষ্টা মহোদয় বলেছেন, নামের কারণে তাদের দেশের ফুটবলে খেলতে কোনো সমস্যা নেই। ক্লাবগুলোকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তারও আশ্বাস দিয়েছেন উপদেষ্টা মহোদয়।’

তবে শেখ জামাল এবং শেখ রাসেলের মতো নামী দুই ক্লাবের স্পন্সরের ব্যাপারটি ক্লাব কর্তৃপক্ষের হাতেই ছেড়ে দিয়েছেন আসিফ মাহমুদ। বাফুফের পক্ষ থেকে বর্তমান পরিস্থিতি উপদেষ্টাকে জানানো হয়েছে উল্লেখ করে তিনি জানান, ‘উপদেষ্টা বলেছেন, পৃষ্ঠপোষক যেহেতু ক্লাবের ব্যাপার, তাই এটা নিয়ে যেন তারাই চেষ্টা চালায়।’

এদিকে চলমান সংকটের মাঝে টানা দ্বিতীয় দিনের মতো বাফুফেতে সমবেত হয়েছিলেন বর্তমান ফুটবলাররা। আজ তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছিলেন সাবেক ফুটবলার এবং কোচরাও। যেসব ফুটবলাররা শেখ জামাল এবং শেখ রাসেল ক্লাবের সঙ্গে এরইমাঝে চুক্তি করে ফেলেছিলেন, তাদের এসময় ক্যারিয়ার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করতে দেখা যায়। 

জেএ