প্রায় একই সময়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে দক্ষিণ আমেরিকা ও ইউরোপ মহাদেশের ফুটবলে শ্রেষ্ঠত্বের প্রতিযোগিতা। ইংল্যান্ডকে হারিয়ে স্পেন ইউরো এবং কলম্বিয়াকে হারিয়ে আর্জেন্টিনা কোপা আমেরিকায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। এবার দুই চ্যাম্পিয়ন দলের ফিনিলিসিমায় মুখোমুখি হওয়ার পালা। যা নিয়ে আগ্রহের কমতি নেই ফুটবল ভক্তদের। তবে এখন পর্যন্ত আর্জেন্টিনা-স্পেন ম্যাচের সূচি নির্ধারিত হয়নি, এ নিয়ে নতুন জটিলতা তৈরি হয়েছে!

এ নিয়ে আর্জেন্টিনার সংবাদিক গ্যাস্তুন এদুল জানিয়েছেন, ২০২৫ ফিনালিসিমার সূচি নিয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। কারণ ফুটবল ক্যালেন্ডারে ম্যাচটির জন্য উপযুক্ত সময় মিলছে না। কারণ লম্বা বিরতির পর শুরু হচ্ছে ক্লাব ফুটবলের নতুন মৌসুম। এ ছাড়া বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব এবং উয়েফা ন্যাশন্স লিগের সূচিও আগে থেকেই নির্ধারিত ছিল। ফলে অতিরিক্ত কোনো ম্যাচের (ফিনালিসিমা) সূচি ঠিক করা কিছুটা জটিল!

ধারণা করা হচ্ছিল, ২০২৫ সালের মাঝামাঝি সময়ে হবে ফিনালিসিমার তৃতীয় আসর। ২০২৫ সালের ১৫ জুন থেকে ১৩ জুলাই পর্যন্ত পর্যন্ত আয়োজিত হবে ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ। এই টুর্নামেন্টের আগে বা পরেই ফিনালিসিমা আয়োজিত হওয়ার কথা, তবে চূড়ান্ত সূচি এখনই জানা যাচ্ছে না।

ফিনালিসিমা ট্রফি

এর আগে ফিনালিসিমার গত আসর আয়োজন করেছিল ইংল্যান্ডের ওয়েম্বলি। যেখানে কোপা চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা ৩-০ গোলে হারায় ইউরো চ্যাম্পিয়ন ইতালিকে। তবে ফিনালিসিমা কোনো মেজর ট্রফি নয়। ফিফার দৃষ্টিতে এটি অন্য আট-দশটা সাধারণ প্রীতি ম্যাচের মতোই। তবে দুই মহাদেশের চ্যাম্পিয়নদের লড়াই নিয়ে ফুটবল ভক্তদের মাঝে উন্মাদনার কমতি থাকে না। বরং দুই চ্যাম্পিয়নের মধ্যে কোন দল সেরা তা জানতেই তারা রোমাঞ্চ অনুভব করেন।

দুই মহাদেশের চ্যাম্পিয়নদের নিয়ে ফিনালিসিমা প্রথমবারের মতো আয়োজন করা হয় ১৯৮৫ সালে। এরপর ১৯৯৩ সাল থেকে সেটি আবার বন্ধ হয়ে যায়। পরবর্তীতে ২০২২ সালে ফের দুই মহাদেশের অভিভাবক সংস্থা কনমেবল ও উয়েফার সম্মতিতে আয়োজন করা হয় ফিনালিসিমা। কিন্তু এবার ব্যস্ত সূচির কারণে তৈরি হয়েছে জটিলতা। প্রায় প্রতিটি আন্তর্জাতিক বিরতিতেই বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচ রয়েছে আলবিসেলেস্তেদের। একই সময়ে স্প্যানিশরাও ব্যস্ত থাকবে উয়েফা ন্যাশন্স লিগ ও বিশ্বকাপ বাছাইয়ের খেলায়। এতে ২০২৬ সাল পর্যন্ত খুব একটা ফাঁকা সময় নেই তাদের সামনে।

এদিকে, একের পর এক টানা খেলার ব্যস্ততায় ফুটবলারদের ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্ট নিয়ে ভাবতে হচ্ছে জাতীয় দল ও ক্লাবগুলোর। শেষ পর্যন্ত কনমেবল ও উয়েফা সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে কোন সময়ে ফিনালিসিমার তারিখ নির্ধারণ করে সেটাই দেখার বিষয়!

এএইচএস