‘ফ্রান্স, ফ্রান্স’ ধ্বনি আবার কেউ রব তুলেছেন ‘নো, স্পেন’। প্যারিস সেন্ট জার্মেইয়ের পার্ক দ্য প্রিন্সেস ভেন্যুতে অলিম্পিক গেমসের পুরুষ ফুটবলের ফাইনালে মুখোমুখি ফ্রান্স-স্পেন। স্টেডিয়াম এলাকাজুড়ে দুই দলের সমর্থকরা অবস্থান নিয়েছেন। অলিম্পিকে ফুটবল ইভেন্টটি প্যারিসের বাইরের শহরেই বেশি হয়েছে। সেমিফাইনাল ও ফাইনাল হচ্ছে প্যারিসে। ফুটবলে ফরাসিদের মূল ভেন্যু স্তাদে দ্য ফ্রান্স হলেও অলিম্পিকের ফুটবল হচ্ছে পার্ক দ্য প্রিন্সেসে। 

ফ্রান্স স্বাগতিক ও প্যারিসে ফাইনাল হওয়ায় তাদের সমর্থক বেশি। তাদের কারও হাতে পতাকা, কারওবা গালে অঙ্কিত আবার কেউ জার্সি পরে এসেছেন। নিজ দেশের পক্ষে স্লোগান দিতে দিতে স্টেডিয়াম প্রবেশ করছেন সমর্থকরা। দর্শকসংখ্যা বেশি হওয়ায় আয়োজকরা নিরাপত্তাও বাড়িয়েছেন।

প্রথমার্ধে ৩-১ গোলে এগিয়ে আছে স্পেন

ফ্রান্স ১৯৯৮ সালে বিশ্বকাপ ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল প্যারিসেই। সেই ম্যাচ হয়েছিল স্তাদে দ্য ফ্রান্সে। এবার অলিম্পিক গেমসের ফাইনালে আরেকবার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পথে। তবে ৫০ বছর বয়সী ফ্রান্সের সমর্থক চ্যাপেল বিশ্বকাপ উন্মাদনাকেই এগিয়ে রাখলেন, ‘বিশ্বকাপ ফুটবলের আবহ ও গুরুত্ব বেশি। এখানে (অলিম্পিক) অনেক সিনিয়র খেলোয়াড় নেই। অলিম্পিকে স্বর্ণ জিতলে অবশ্যই সুখকর। তবে সেটা অবশ্যই ১৯৯৮ বা ২০১৮ বিশ্বকাপ ফুটবল জয়ের সমান নয়।’

আজকের চেয়ে এই সমর্থক এগিয়ে রাখলেন আগামীকাল বাস্কেটবলের স্বর্ণের লড়াইকে, ‘আগামীকাল বাস্কেটবলে আমেরিকাকে হারাতে পারলে পদক তালিকায় বড় প্রভাব পড়বে। বাস্তবিক অর্থে তাই আজকের ফুটবলের চেয়ে বাস্কেটবলই গুরুত্বপূর্ণ।’ ফরাসি আরেক সমর্থক ড্যানিয়েল অবশ্য আজকের স্বর্ণের দিকে তাকিয়ে। তার মন্তব্য, ‘আজই স্বর্ণ জিততে চাই আমরা। ফুটবলের স্বর্ণ খুব গুরুত্বপূর্ণ।’

স্পেনের সমর্থকরা প্যারিস থেকে স্বর্ণ নিয়ে ফিরতে চান। মাদ্রিদ থেকে আসা এক স্প্যানিশ সমর্থক বলেন, ‘ইউরো কাপের মতো আমরা অলিম্পিক ফুটবলেও স্বর্ণ জিততে চাই।’

এজেড/এএইচএস