এবারের ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে ফ্রান্সের কাছে টাইব্রেকারে হেরে সেমিফাইনাল থেকে ছিটকে যায় পর্তুগাল। আর সেই ম্যাচটি ছিল ইউরোতে দলটির দুই তারকা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো এবং পেপে’র শেষবারের মতো মাঠে নামা। এমনকি তারা জাতীয় দলেও শেষ ম্যাচ খেলে ফেলেছেন কি না সেই প্রশ্ন উঠেছিল। সেই প্রশ্নের উত্তর এলো পেপের ক্ষেত্রে, ৪১ বছর বয়সী এই ডিফেন্ডার ফুটবল ক্যারিয়ারে ইতি টেনেছেন।

আজ (বৃহস্পতিবার) নিজের বুটজোড়া তুলে রাখার ঘোষণা দিয়েছেন পেপে। পর্তুগাল জাতীয় দলের পাশাপাশি ক্লাব ফুটবলে তিনি রিয়াল মাদ্রিদ, পোর্তো, বেসিকটাস ও মারিটিমোর হয়ে খেলেছেন। রক্ষণের এই অভিজ্ঞ তারকা বিভিন্ন ক্লাবের হয়ে ৭৩৭ এবং জাতীয় দলে তিনি ১৪১টি ম্যাচ। এবারের ইউরোতে তিনি সবচেয়ে বয়স্ক ফুটবলারের রেকর্ড গড়েছিলেন।

পেপের সঙ্গে সর্বশেষ ৩০ জুন পোর্তোর চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়েছে, আর এর মধ্য দিয়ে নিজের ক্যারিয়ারেও ইতি টানলেন পেপে। এরপর আর তিনি স্বদেশি ক্লাবটির সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ নবায়ন করেননি, যদিও তিনি অন্য ক্লাবে যেতে পারেন বলে গুঞ্জন চলছিল। এর আগে রিয়ালের জার্সিতে সোনালী সময় কাটিয়েছিলেন পেপে। লস ব্লাঙ্কোসদের হয়ে তিনি খেলেছেন ২০০৭-২০১৭। এই সময়ে তিনটি করে লা লিগা ও চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, দুটি করে কোপা দেল রে, ক্লাব ওয়ার্ল্ডকাপ ও স্প্যানিশ সুপার কাপ এবং একটি উয়েফা সুপার কাপ জিতেছেন।

নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের একাউন্টে দেওয়া এক ভিডিওতে অবসরের ঘোষণা দেন পেপে। সেখানে নিজের সতীর্থ-কোচ, সমর্থকসহ সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেছেন, ‘কৃতজ্ঞতা কোচ জর্জ মেন্দেস, গেস্টিফিউট (এজেন্ট) এবং আমার মা যিনি আমার স্বপ্ন বাস্তবায়নে পাশে থেকেছেন, যা আমাকে পেশাদার ফুটবলার বানিয়েছে। আমার বন্ধু, বিশেষ করে স্ত্রী ও সন্তানরা আমার ওপর বিশ্বাস রেখেছিলেন। আমি সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে চাই।’

এএইচএস