ফ্রান্সের মুল ফুটবল ভেন্যু স্তাদে দ্য ফ্রান্স। এই স্টেডিয়ামের পাশেই রয়েছে ফ্যান জোন। বড় স্ক্রিনে ক্রীড়াপ্রেমীরা অলিম্পিকের বিভিন্ন খেলা দেখেন। গতকাল রাতে ফ্রান্স ও আর্জেন্টিনার ফুটবল ম্যাচ থাকায় ফ্যান জোনের আবহ ছিল ভিন্ন। 

কাতার বিশ্বকাপের ফাইনালে টাইব্রেকারে ফ্রান্স আর্জেন্টিনার কাছে বিশ্বকাপ হারিয়েছে। বিশ্বকাপ ফাইনালের পর আবার বড় মঞ্চে দুই মোড়লের লড়াই। তাই উত্তাপ ছড়িয়েছে বেশ। অলিম্পিক পুরুষ ইভেন্টের কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচটি পড়েছে বোর্দে। প্যারিস থেকে ৪০০ কিলোমিটার দূরে হওয়ায় জায়ান্ট স্ক্রিনেই অনেকে চোখ রেখেছিলেন। 

স্তাদে দ্য ফ্রান্স স্টেডিয়ামের পাশে সেন্ট ডেনিসের ফ্যান জোনটি বেশ সুন্দর। বেশ কয়েকটি টেবিলে বসে প্রিয় দলের খেলা দেখেছেন ভক্তরা। আবার যারা একটু আগেভাগে এসেছেন তারা ইজি চেয়ারে শুয়ে বালুর মধ্যে আর্জেন্টিনা-ফ্রান্স লড়াই দেখেছেন। ফ্রান্স-আর্জেন্টিনা খেলা হলেও ব্রাজিল জার্সিধারীদেরও দেখা গেছে সেখানে। তবে পর্তুগিজ ছাড়া অন্য কোনো ভাষা না জানায় তার প্রতিক্রিয়া নেওয়া সম্ভব হয়নি।

আর্জেন্টিনার জার্সি গায়ে এসেছিলেন অনেকে। এদের মধ্যে একজন নিকো। রোজারিওতে বাসা হলেও চাকরিসূত্রে থাকেন স্পেনের মালাগায়। তার আর্জেন্টাইন বন্ধু সেবাস্টিনকে নিয়ে প্যারিসে খেলা দেখতে এসেছেন। সেন্ট ডেনিসে ফ্যান জোনের পরিবেশ ভালো হলেও উন্মাদনা খানিকটা মিস করেছেন রিকো, ‘ফ্যান জোন আরও একটু ক্রেজি আশা করেছিলাম। সেই তুলনায় একটু কমই।’

বিশ্বকাপ ফুটবলে ফ্যান জোনের উন্মাদনার মাত্রা অন্য সবকিছুর চেয়ে আলাদা। সেটা স্বীকার করে ফ্রান্সের সমর্থক কিটা বলেন, ‘অলিম্পিকে সবচেয়ে বড় ফ্যান জোন প্যারিসের অন্যপ্রান্তে। সেখানে উন্মাদনা একটু বেশি, তবে অবশ্যই তা বিশ্বকাপ ফুটবলের মতো নয়।’

প্যারিসের আয়োজকরা অবশ্য ফ্যান জোনে সব উপাদানই রেখেছেন। ফ্যান জোনের অন্যতম অনুষঙ্গ বিয়ার, কোকের জন্য ছিল বিশেষ স্টল। আরও অনেক খাদ্য কেনার সুযোগ রয়েছে ফ্যানদের। 

আর্জেন্টিনা হারলেও তাদের সমর্থকরা তেমন টিপ্পনীর স্বীকার হননি। বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স অবশ্য তেমন উচ্ছ্বাসও করেনি ফ্যান জোনে। খেলা উপভোগ করে সবাই বাড়ি ফিরেছেন। তবে ফুটবল দলের জার্সিতে প্যারিসের কয়েকটি পথ ছিল রঙিন। 

এজেড/এএইচএস