ফুটবলের প্রতি দুর্নিবার আকর্ষণ সবার। পেশাদার আঙ্গিকের বাইরে অনেকেই শখের বশে আবার কেউ শরীর-স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে ফুটবল খেলেন। তরুণ প্রজন্ম বর্তমানে মোবাইলে আসক্ত-খেলাধূলায় সম্পৃক্ত নয়। অনেক পরিবার বাচ্চাদের ফুটবল শেখাতে চাইলেও নেই সেই সুযোগ। এই চাহিদা অনুভব করে বাফুফে চালু করেছে ‘ফুটবল ফর হেলথ’। বাফুফে ভবনের পাশে আর্টিফিশিয়াল টার্ফে বৃহস্পতি,শুক্র ও শনিবার শিশু-কিশোররা ফুটবল উৎসবে মেতে উঠেন। 

কয়েক মাসের ব্যবধানে এই একাডেমি বেশ সাড়া জাগিয়েছে। বিশেষ করে সচেতন অভিভাবক সমাজ বাফুফের এই উদ্যোগে অত্যন্ত সক্রিয়। তাই ঢাকার মতো তিন বিভাগীয় শহর রাজশাহী, সিলেট ও খুলনায় এই রকম ফুটবল ফর হেলথ নামে একাডেমি চালু করছে বাফুফে। আজ (মঙ্গলবার) দুপুরে বাফুফে ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে সেই আনুষ্ঠানিক ঘোষণা হয়। 

আগস্টের প্রথম সপ্তাহ থেকেই তিন বিভাগীয় শহরে জেলা স্টেডিয়ামে শুরু হবে ফুটবল ফর হেলথ কার্যক্রম। ৮-১১ বছর ও ১১-১৪ বছর বয়সী আগ্রহীরা ৪৫ জন করে ভর্তি হতে পারবে। ঢাকার মতো তিন বিভাগীয় শহরেও মাসিক ফি ৩ হাজার টাকা ধার্য করেছে বাফুফে। সিলেট, রাজশাহী ও খুলনা জেলা ফুটবল এসোসিয়েশন ভর্তি ও অনুশীলন কার্যক্রম তত্ত্ববধায়ন করবে। এই তিন জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনের অফিস ছাড়াও বাফুফের পেজও ভর্তি ফরম থাকবে। আগে আসলে আগে পাবেন ভিত্তিতে ভর্তি কার্যক্রম চলবে। বাফুফে এই তিন শহরে একাডেমির জন্য কোচ প্রদান করবে। 

বাফুফের ফুটবল ফর হেলথ স্লোগানের সঙ্গে রয়েছেন বিশিষ্ট অভিনেতা জাহিদ হাসান। আজ সংবাদ সম্মেলনে তিনি বাফুফের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, ‘অভিভাবকরা বাচ্চাদের ফুটবল শেখাতে চায়। বাফুফে এই উদ্যোগ নেয়ায় অনেক বাচ্চাই এখন স্বতঃস্ফূর্তভাবে ফুটবল শিখছে। যা সুস্থ ও সুন্দর সমাজ গড়ার ক্ষেত্রেও ভূমিকা রাখছে।’

 

ঢাকায় এই অনাবাসিক একাডেমির জন্য আবার টুর্নামেন্টও আয়োজন করে বাফুফে। এই একাডেমি থেকে কোনো মেধাবী ফুটবলারের সন্ধান মিললে অথবা কেউ পেশাদার ফুটবল হতে চাইলে এলিট একাডেমিতে ট্রায়াল দিতে পারবে। আজ বাফুফে ভবনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে ডেভলপমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান ও বাফুফের অন্যতম সহ-সভাপতি আতাউর রহমান মানিক সহ কমিটির অনেক উপস্থিত ছিলেন। 

এজেড/জেএ