নির্ধারিত ৯০ মিনিটে আসেনি ফলাফল। আর্জেন্টিনা ও কলম্বিয়ার মধ্যেকার কোপা আমেরিকার ম্যাচ গেল অতিরিক্ত সময়ে। ম্যাচের নাটকীয় এক মুহূর্তে লিওনেল মেসি মাঠ ছেড়েছেন কান্নাভেজা চোখে। কোপা আমেরিকায় নিজের শেষ ম্যাচটা পুরো খেলা হচ্ছে না তার। ২০২২ বিশ্বকাপের পর আরও একবার আর্জেন্টিনার ফাইনাল গেল অতিরিক্ত সময়ে। 

পুরো ম্যাচে আধিপত্য মোটাদাগে ধরে রেখেছিল কলম্বিয়াই। ম্যাচপূর্ব ঘটনায় আগে থেকেই মানসিকভাবে আর্জেন্টিনা ছিল বিপর্যস্ত। ম্যাচ শুরুর আগেই কলম্বিয়ার উগ্র ভক্তদের তোপের মুখে পড়েন আর্জেন্টিনার খেলোয়াড়দের স্বজনেরা। সেখান থেকে আর বেরিয়ে আসা হয়নি পুরো ম্যাচে। পুরো ম্যাচেই কলম্বিয়ার শারীরিক ফুটবল আর প্রেসিংয়ের কাছে অসহায় হয়ে ছিল আর্জেন্টিনার রক্ষণভাগ। পুরোটা সময় তাদের ব্যস্ত থাকতে হয়েছে কলম্বিয়ার আক্রমণ ঠেকাবার কাজে। 

এরমাঝেও আর্জেন্টিনার জন্য ভরসা হয়ে ছিলেন মেসি ও ডি মারিয়া জুটি। তাদের প্রচেষ্টা থেকেই একাধিকবার কাউন্টার অ্যাটাকে যায় আর্জেন্টিনা। এরইমাঝে ম্যাচের ৬৩ মিনিটে বড় ধাক্কা খায় আলবিসেলেস্তেরা। লিওনেল মেসি ইনজুরির কারণে মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন। চোখের জলে বিদায় জানান কোপা আমেরিকার ফাইনালকে। 

ম্যাচের ৩৭ মিনিটেই মূলত ইনজুরিতে পড়েন মেসি। আক্রমণে যাওয়ার পরেই তাকে কড়া ট্যাকেল করেন কলম্বিয়ার রাইটব্যাক সান্তিয়াগো আরিয়াস। কড়া ট্যাকেলের পর সেখানেই গোড়ালি মচকায় লা পুলগার। এরপরেই ব্যাথানাশক দিয়ে সাময়িক চিকিৎসা চলে মেসির। খেলায়ও ফিরে আসেন খানিক পরেই। প্রথমার্ধ শেষ করেছেন সতর্কভাবেই। 

তবে দ্বিতীয়ার্ধে আর পারলেন না মেসি। খেললেন না ৬৩ মিনিট পর্যন্ত। প্রেসিং করতে গিয়েই পড়ে যান মাঠে। সেখান থেকে আর ফেরা হয়নি মেসির। মাঠের চিকিৎসার পর আর্মব্যান্ড তুলে দিলেন আনহেল ডি মারিয়ার কাছে। সাইডবেঞ্চে বসেই এরপর কান্নায় ভেঙে পড়েছেন মেসি। 

ম্যাচে অবশ্য মেসিকে এমন কড়া ট্যাকেলের পরেও কোনো কার্ড দেখতে হয়নি আরিয়াসকে। ব্রাজিলিয়ান রেফারি রাফায়েল ক্লাউস বাজাননি ফাউলের বাঁশিও। ম্যাচেও অবশ্য এখন পর্যন্ত ফলাফলে পড়েনি এর প্রভাব। যদিও বদলি নেমে নিকোলাস গঞ্জালেস খেলেছেন দুর্দান্ত। একাধিকবার ভয় ধরিয়ে দিয়েছেন কলম্বিয়ার রক্ষণে। যদিও গোলরক্ষক ক্যামিলো ভারগাসের কাছে আটকাতে হয়েছে তাদের। 

জেএ