স্টেডিয়ামের বাইরে তখন আর্জেন্টিনার ভক্তদের ওপর চড়াও হয়েছে কলম্বিয়ার উগ্রপন্থী সমর্থকরা। ম্যাচ শুরুর আগে নির্ধারিত সময়েই সমর্থকদের জন্য গেট খুলে দিয়েছিল মায়ামির হার্ড রক স্টেডিয়ামের কর্তৃপক্ষ। কিন্তু কলম্বিয়ান অধ্যুষিত মায়ামিতে শুরু হলো তাণ্ডব। মাঠে টিকিট ছাড়াই প্রবেশের চেষ্টা চালালেন কলম্বিয়ার সমর্থকরা। 

বিশৃঙ্খলার মধ্যে টিকিটধারী অনেক দর্শক মাঠে ঢুকতে গিয়ে আহতও হয়েছেন। এমন অবস্থায় ফাইনাল শুরুর নির্ধারিত সময় কয়েক দফায় পিছিয়ে দেয়া হয়। এরপরেই আর্জেন্টিনার ভক্তদের ওপর চড়াও হতে শুরু করে কলম্বিয়ান ভক্তদের একাংশ। তাদের তোপের মুখে পড়েন খেলোয়াড়দের স্বজনরাও। যাদের মধ্যে ছিলেন আলেহান্দ্রো গার্নাচোর ভাই, অ্যালেক্সিস ম্যাক অ্যালিস্টারের মা। 

আর্জেন্টিনার গণমাধ্যম টিওয়াইসি স্পোর্টসের সঙ্গে আলাপে ম্যাক অ্যালিস্টারের মা সিলভিনা জানান, আর্জেন্টাইন এই মিডফিল্ডার পুরো দলের সঙ্গে লকার রুমেই ছিলেন। তবে স্টেডিয়ামের বাইরে গণ্ডগোলের আভাস পেয়ে লকার রুম থেকে বেরিয়ে আসেন। পরে নিজেই পরিবারের সদস্যদের নিয়ে মাঠে প্রবেশ করেন এই মিডফিল্ডার। 

ম্যাক অ্যালিস্টারের মা এসময় পুরো পরিস্থিতিকে অমানবিক বলে উল্লেখ করেন। দলের আরেক সদস্য গার্নাচোর ভাই স্টেডিয়ামের বাইরে থেকে টুইট করে জানান, বাইরে ব্যাপক হট্টগোলের কারণে মূল ফটক থেকে অনেকটা দূরেই অবস্থান নিয়েছেন খেলোয়াড়দের পরিবারের সদস্যরা। 

এর আগে উরুগুয়ের বিপক্ষে সেমিফাইনালেও ম্যাচ শেষে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন কলম্বিয়ান সমর্থকরা। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তারা প্রতিপক্ষ উরুগুয়ে খেলোয়াড়দের পরিবারের সদস্যদের প্রতি বিদ্রুপমূলক আচরণ করছিলেন। ডারউন নুনিয়েজ, রোনাল্ড আরাউহোর মতো খেলোয়াড়রা সেদিন ছুটে যান গ্যালারিতে। 

এরপরেই কনমেবল ফাইনালের জন্য বাড়তি নিরাপত্তাকর্মী নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেয়। যদিও শেষ পর্যন্ত রক্ষা হয়নি। বিশৃঙ্খল ভক্তরা ঠিকই হানা দিয়েছেন মায়ামিতে। 

জেএ