কলম্বিয়ান ভক্তদের তোপের মুখে শুরুতেই আধঘণ্টা পিছিয়ে দেয়া হয়েছিল আর্জেন্টিনা ও কলম্বিয়ার মধ্যেকার ম্যাচ। এবার সেটা পেছল আরও অনেকটা সময়। খেলা শুরুর নতুন সময় বাংলাদেশ সময় ৭টা ১৫ মিনিট। উগ্র ভক্তদের সামাল দিতে এখনো হিমশিম খাচ্ছে মায়ামির হার্ড রক স্টেডিয়ামের নিরাপত্তাকর্মীরা। এখনো চলছে অস্থিরতা। যে কারণে পিছিয়ে দেয়া হয়েছে ম্যাচ। সবমিলিয়ে ১ ঘণ্টা ১৫ মিনিট পিছিয়েছে ফাইনাল।

নির্ধারিত সময়ে গেট খুলে দেয়ার পরে স্টেডিয়ামে উচ্ছৃঙ্খল কলম্বিয়ান ভক্তদের তোপের মুখে পড়ে মায়ামির হার্ডরক স্টেডিয়ামের নিরাপত্তাকর্মীরা। কলম্বিয়ান অধ্যুষিত সেই অঞ্চলের অনেকেই ফাইনালের ভেন্যুতে প্রবেশের চেষ্টা চালান। ফলে তৈরি হয় এক বিশৃঙ্খল পরিবেশের। স্টেডিয়ামের নিরাপত্তাকর্মীরা বাধ্য হন টিকিটবিহীন কলম্বিয়ান ভক্তদের ওপর চড়াও হতে।

প্রটোকল অবশ্য পুরোপুরি মানতে পারেননি হার্ড রক স্টেডিয়ামের নিরাপত্তায় থাকা পুলিশেরা। কলম্বিয়ান ভক্তদের অনেকেই ঢুকে পড়েছেন বিনা টিকিটে। পুরো বিষয়টি নিয়েই সেখানে তৈরি হয় জটিল পরিস্থিতির। ফাইনালকে কেন্দ্র করে বাড়তি ব্যবস্থা নিয়েও বিতর্ক এড়াতে পারেনি কনমেবল। চরম বিপাকের মাঝে পড়ে আয়োজকরা তাৎক্ষণিকভাবে স্টেডিয়ামের গেট বন্ধ করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার পর হার্ড রক স্টেডিয়ামে ফাইনাল পিছিয়ে দেয়া হয় আধঘন্টার জন্য। 

কিন্তু এরপরেও থামেনি কলম্বিয়ান ভক্তদের আগ্রাসন। স্রোতের মত তারা স্টেডিয়ামে প্রবেশের চেষ্টা চালান। ফাইনাল পেছানো হয় আরও ১৫ মিনিটের জন্য। যদিও তখনও ম্যাচ মাঠে গড়াবে কি না তা নিয়ে আছে সংশয়। 

ফাইনালের বিগ ম্যাচে বাড়তি নিরাপত্তাকর্মীদের আনা হয়েছে মূলত কলম্বিয়ার এমন উগ্র সমর্থকদের কথা মাথায় রেখে। এর আগে উরুগুয়ের বিপক্ষে সেমিফাইনালেও ম্যাচ শেষে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন কলম্বিয়ান সমর্থকরা। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তারা প্রতিপক্ষ উরুগুয়ে খেলোয়াড়দের পরিবারের সদস্যদের প্রতি বিদ্রুপমূলক আচরণ করছিলেন। ডারউন নুনিয়েজ, রোনাল্ড আরাউহোর মতো খেলোয়াড়রা সেদিন ছুটে যান গ্যালারিতে। 

এরপরেই কনমেবল ফাইনালের জন্য বাড়তি নিরাপত্তাকর্মী নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেয়। যদিও শেষ পর্যন্ত রক্ষা হয়নি। বিশৃঙ্খল ভক্তরা ঠিকই হানা দিয়েছেন মায়ামিতে। বহুল প্রতিক্ষীত ফাইনাল পিছিয়েছে তাতে। 

জেএ