বল দখলে এগিয়ে স্পেন। গোলে শট নেয়ার ক্ষেত্রেও এগিয়ে লা রোহারা। তবে প্রথমার্ধের ৪৫ মিনিট শেষে ইউরো ফাইনালে দেখা গেল অতি সাবধানী ফুটবল। স্পেন বা ইংল্যান্ড কেউই খেলেনি আগ্রাসী হয়ে। ইংল্যান্ড অবশ্য আগে থেকেই এমন সাবধানী ফুটবলে অভ্যস্ত। তবে স্পেনের গতিশীল ফুটবলেও আজ এসেছে ভাটা। লামিনে ইয়ামাল কিংবা নিকো উইলিয়ামসরা খুব একটা এগিয়ে যাননি। ৪৫ মিনিট তাই শেষ হলো গোলশূন্য ড্র-য়ে। 

বার্লিনে ইউরোর ফাইনালে দুই দলই খেলেছে ডাবল পিভট নিয়ে। ইংল্যান্ডের হয়ে ডেক্লান রাইস এবং কোবি মাইনু সামলেছেন দানি ওলমো, নিকো উইলিয়ামস আর ইয়ামালকে। অন্যদিকে স্পেনের হয়ে দুর্দান্ত ছন্দে থাকা ফ্যাবিয়ান রুইজ আর রদ্রি রীতিমতো ফাইনালে অপ্রতিরোধ্য দেয়াল। দুই দলের এমন রক্ষণাত্মক খেলার কারণেই কি না গোলরক্ষকরা পার করেছেন অলস সময়। পুরো ৪৫ মিনিটে অন টার্গেট শট মোটে ২টি।  

ম্যাচে স্পেন অবশ্য বল দখলের বেলায় অনেকটা সময় এগিয়ে ছিল। প্রায় ৭০ শতাংশ সময়ে বল ধরে রেখেছিল দে লা ফুয়েন্তের শিষ্যরা। বিপরীতে থ্রি লায়ন্সরা অপেক্ষায় ছিল কাউন্টার অ্যাটাকের। ম্যাচের সেরা সুযোগটা অবশ্য ইংল্যান্ডই পায় প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে।

ডিবক্সের বাইরে পাওয়া ফ্রি কিক বক্সে দারুণভাবে ফেলেছিলেন রাইস। লা নোরমান্দের মাথা ছুঁইয়ে চলে যায় ফাঁকায় থাকা ফিল ফোডেনের দিকে। ইংলিশ উইঙ্গারের অন টার্গেট শট ফিরিয়ে দেন স্প্যানিশ গোলরক্ষক উনাই সিমন। লিডটাও আর পাওয়া হয়নি তাদের। বার্লিনের অলিম্পিক স্টেডিয়ামে দর্শকরা ফাইনালে বসে দেখলেন সাবধানী ফুটবলের প্রদর্শনী। 

জেএ