শুক্রবার সকালে রাজধানী ঢাকায় টানা বৃষ্টি হয়েছে। এই বৃষ্টিতে রাজধানীর অনেক এলাকায় জলাবদ্ধতা তৈরি হয়। মতিঝিল-আরামবাগ এলাকায়ও পানি জমে কোমর সমান। আকস্মিক জলাবদ্ধতায় এই এলাকার ক্লাবপাড়া বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিশেষ করে দেশের সবচেয়ে দুই প্রাচীন ক্লাব ওয়ারী ও ভিক্টোরিয়ায় এর প্রভাব পড়েছে বেশি। 

ভিক্টোরিয়া ক্লাবে ক্যাম্প করছে সিনিয়র ডিভিশন লিগের সিদ্দিকবাজার জুনিয়র স্পোর্টিং ক্লাব। সকাল থেকে যখন ভারী বৃষ্টি তখন সিদ্দিকবাজারের ফুটবলাররা কমলাপুর স্টেডিয়ামে ছিলেন ম্যাচ খেলতে। দুপুরে খেলা থেকে ফিরে এসে দেখেন তাদের বিছানা ও প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র সবই পানির নিচে। 

দুপুরের দিকে বৃষ্টি থামলেও সন্ধ্যার পরও ক্লাবে ছিল পানি। তাই বাধ্য হয়ে ফুটবলারদের নিকটবর্তী আবাসিক হোটেলে স্থানান্তর করা হয়েছে। সিদ্দিকবাজার ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আহাদ বাপ্পি বলেন, ‘হঠাৎ ভারী বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতায় আমাদের অনেক ক্ষতি হয়েছে। বিছানা-আসবাবপত্র, খেলোয়াড়দের ব্যক্তিগত জিনিসপত্র অনেকটাই নষ্ট হয়েছে। পাশাপাশি হোটেলে উঠায় বাড়তি ব্যয়ও হয়েছে।’

আজ দুপুরে ভিক্টোরিয়া ক্লাব টেন্টে দেখা গেল কয়েক জন ফুটবলারকে। তারা আফসোস করে বলছিলেন, ‘একেবারেই দুভার্গ্য। আমাদের খেলা বিকেলে থাকলে অনেক জিনিষপত্র বাচাতে পারতাম। যখন খেলে এসেছি তখন আর কিছুই করার ছিল না।’ ক্যাসিনো অভিযানের পর সংস্কার করে ভিক্টোরিয়া ক্লাব সম্প্রতি খেলোয়াড়দের আবাসন উপযোগী করা হয়েছে। আকস্মিক বৃষ্টি ও জলাবদ্ধতায় ক্লাবটি আবার সংকটে পড়েছে।  

ভিক্টোরিয়া ক্লাবের গাঁ ঘেষেই দেশের সবচেয়ে প্রাচীন ও শতবর্ষী আরেক ক্লাব ওয়ারী। সেই ক্লাবেও রয়েছেন সিনিয়র বিভাগে খেলা আরেক ক্লাব স্বাধীনতার ফুটবলাররা। কয়েকটি কক্ষে ফুটবলাররা ব্যস্ত খাট-বিছানা ঠিক করতে। কিছু বিছানা ও আসবাবপত্র ভিজে এতটাই নাজুক অবস্থা যা ব্যবহার অনুপযোগী। 

ওয়ারী ক্লাবের বর্ষীয়ান স্টাফ মাস্টার নামেই ক্রীড়াঙ্গনে পরিচিত। তিনি স্মৃতি হাতড়ে বলেন, ‘আমার অফিস কক্ষে কাল কোমর সমান পানি ছিল। অনেক বিল ভাউচার ভিজে নষ্ট হয়েছে। ১৯৮৮ সালে বন্যার পর এত পানি ক্লাবে উঠেছে।’

দেশের আরেক ঐতিহ্যবাহী ক্লাব মোহামেডানের অবস্থানও একই সারিতে। ২৪ ঘন্টা পেরিয়ে গেলেও জলাবদ্ধতার ছাপ এখনো রয়েছে ক্লাবে। তবে আজ আবাহনীর বিপক্ষে জুনিয়র লিগের খেলা থাকায় দ্রুত সময়ের মধ্যে আবাসন কক্ষে পরিচ্ছন্নতা করেছে ক্লাবটি।

এজেড/জেএ