এমন হার যেন মেনে নেয়ার মতো না। কোপা আমেরিকার সেমিফাইনালে কলম্বিয়ার বিপক্ষে উরুগুয়েকেই অনেকে রেখেছিলেন এগিয়ে। নাম-ঐতিহ্য কিংবা সম্ভাবনার বিচারে এগিয়ে ছিল উরুগুয়েই। কিন্তু নেস্টোর লরেঞ্জোর কলম্বিয়া বলতে গেলে ছিটকেই ফেলেছিল উরুগুয়েকে। ১-০ গোলের জয়ে ২৩ বছর পর তারা পা রেখেছে কোপা আমেরিকার ফাইনালে। 

হাইভোল্টেজ এই ম্যাচে হারের পরেই মেজাজ হারিয়েছেন উরুগুয়ের ফুটবলাররা। মাঠেই উত্তেজিত অবস্থায় দেখা যায় উরুগুয়ে অধিনায়ক লুইস সুয়ারেজ এবং কোচ মার্সেলো বিয়েলসাকে। বেশ ক্ষুব্ধ অবস্থাতেই কথা বলছিলেন দুজনে। এরপরেই গ্যালারিতে দেখা যায় উরুগুয়ের দুই তারকা ডারউইন নুনিয়েজ আর রোনাল্ড আরাউহোকে। সঙ্গে ছিলেন আরেক ডিফেন্ডার হোসে গিমেনেজ। 

তবে পুরো ঘটনা চলাকালে কোনোপ্রকার নিরাপত্তাকর্মীকে গ্যালারিতে দেখা যায়নি। সংঘর্ষ বড় আকার ধারণ করলে সেখানে কয়েকজন প্রহরী এসে উরুগুয়ে ফুটবলারদের সরিয়ে নিয়ে যান। এর আগেই অবশ্য খেলোয়াড়দের সরিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেছিলেন উরুগুয়ে কোচ বিয়েলসা। যদিও তাতে নুনিয়েজ-গিমেনেজদের ঠেকানো যায়নি। 

জানা যায়, ম্যাচের পর উল্লাসিত কলম্বিয়ান সমর্থকরা মাঠে থাকা উরুগুয়ে স্ট্রাইকার ডারউইন নুনিয়েজের দিকে প্লাস্টিকের গ্লাস এবং পানি নিক্ষেপ করেন। একইসঙ্গে গ্যালারিতে থাকা উরুগুয়ে ফুটবলারদের পরিবারের সদস্যদের প্রতি বিভিন্ন ব্যাঙ্গাত্মক মন্তব্য ছুঁড়ে দিতে শুরু করেন। বিষয়টাকে মোটেই ভালোভাবে নেননি উরুগুয়ের দুই ডিফেন্ডার গিমেনেজ এবং আরাউহো। এতেই মূলত চটে যান তারা। 

এদের মধ্যে নুনিয়েজকেই দেখা গিয়েছে আগ্রাসী ভূমিকায়। রোনাল্ড আরাউহোকে সেখানে দেখা গেলেও সংঘর্ষে জড়াননি তিনি। তবে এই ঘটনার পর বিপদে পড়তে পারেন উরুগুয়ের সকল ফুটবলার এবং ফুটবল ফেডারেশন। 

ব্রডকাস্টিং চ্যানেলকে দেয়া সাক্ষাৎকারে গিমেনেজ পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করে বলেন, 'আমাদের পরিবারকে বের করে আনতেই হতো। সদ্যজাত বাচ্চারা ছিল ওখানে। কিন্তু কোনো পুলিশ নেই। আমি আশা করব তারা পরিবারগুলো, সমর্থক আর স্টেডিয়ামের আশপাশের নিরাপত্তায় আরও সতর্ক হবে।' কলম্বিয়ান সমর্থকদের প্রসঙ্গে এই ডিফেন্ডারের বক্তব্য, 'কীভাবে পান করতে হয় সেটাই ওরা জানেনা। একেবারে বাচ্চাদের মতো আচরণ। ভদ্র আচরণ ছিল না তাদের। এটা বিপর্যস্ত অবস্থা।' 
জেএ