ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল নিশ্চিত করেছে স্পেন। ফ্রান্সকে ২-১ গোলে হারিয়ে তারা দখল করেছে প্রথম স্পট। দ্বিতীয় দল হিসেবে তাদের সঙ্গী কে, সেটি নিশ্চিত হবে আজ (বুধবার) ইংল্যান্ড-নেদারল্যান্ডসের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে। তবে তার আগে ম্যাচটিতে প্রধান রেফারির দায়িত্ব পাওয়া ‘বিতর্কিত’ ফেলিক্স সভায়েরকে নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা চলছে ইংলিশ গণমাধ্যমে। যদিও তা নিয়ে কোনো আপত্তি নেই ইংল্যান্ড কোচ গ্যারি সাউথগেটের। 

উয়েফা ও জার্মান ফুটবল ফেডারেশন (ডিএফবি) জানিয়েছে, ইংল্যান্ড-নেদারল্যান্ডসের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে দায়িত্ব পালন করবেন ফেলিক্স সভায়ের। যিনি অতীতে ম্যাচ পাতানোর অভিযোগ ওঠার পর নিজের দায় স্বীকার করে ৬ মাস নিষিদ্ধও হয়েছিলেন। তবে এই ম্যাচই প্রথম নয়, চলতি ইউরোয় এখন পর্যন্ত তিনটি ম্যাচ পরিচালনা করেছেন ফেলিক্স। তবে নতুন করে এই আলোচনা উঠেছে জুড বেলিংহামদের ম্যাচে দায়িত্ব পাওয়ায়। কারণ এর আগে বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের হয়ে খেলার সময় এই ইংলিশ মিডফিল্ডার রেফারি ফেলিক্সকে নিয়ে মন্তব্য করে জরিমানা গুনেছিলেন।

যদিও ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে ইংল্যান্ডের ডিফেন্ডার লুক শ’র কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, ফেলিক্সের সেমিফাইনাল ম্যাচ পরিচালনার দায়িত্ব পাওয়া নিয়ে ইংল্যান্ডের কোনো অস্বস্তি আছে কি না? জবাবে শ জানিয়েছেন, ‘না, একদমই নয়। উয়েফা যাকেই রেফারি হিসেবে বেছে নিক, আমাদের সম্মান করতে হবে। আমরা ম্যাচটা নিয়েই ভাবছি। রেফারি কিংবা অন্য কিছু নিয়ে নয়।’

একই কথা বলেছেন ইংলিশ কোচ সাউথগেটও। তিনি বলেছেন, ‘সবাই জানে আমি কীভাবে রেফারির বিষয়টি দেখি, তাদের প্রতি পূর্ণ সম্মান থাকে। উয়েফা যে দুজনকে রেফারিজ প্রোগ্রামের দায়িত্ব দিয়েছে, তাতে আমরা আস্থা রাখি। তাই ম্যাচ পরিচালনার দায়িত্বে কে আসছেন, তা নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন নই। তিনি নিশ্চয়ই অনেক উচ্চমানের কেউ হবেন, নয়তো উয়েফা এমন সিদ্ধান্ত নিতো না। তাই বিষয়টি বিবেচনায় নেওয়ার মতো কিছু নয়।’

অন্যদিকে, রেফারি ফেলিক্সকে নিয়ে নেদারল্যান্ডসেরও আপত্তি থাকার কথা নয়। কারণ এর আগে শেষ ষোলোয় নেদারল্যান্ডসের জয়ের ম্যাচেও রেফারির দায়িত্বে ছিলেন তিনি। তার পরিচালনাধীন ম্যাচে রোমানিয়ার বিপক্ষে ডাচরা ৩-০ গোলে জিতেছিল।

উল্লেখ্য, ফেলিক্স ব্যক্তিগত জীবনে রিয়েল এস্টেট ব্রোকার। অন্যদিকে, জার্মান ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনে বিভিন্ন পর্যায়ে ২০০৪ সালে রেফারির দায়িত্ব পালন শুরু করেন। ৪৩ বছর বয়সী এই রেফারির বিরুদ্ধে পরের বছরই (২০০৫) ম্যাচ পাতানোর অভিযোগ ওঠে। জার্মান ফুটবলে দ্বিতীয় বিভাগে ২০০৪ সালে মে মাসে ভেরডার ব্রেমেন অ্যামেচার-ভুপারটালার এসভি ম্যাচে আরেক অফিশিয়াল রবার্ট হয়সারের কাছ থেকে ৩০০ ইউরো উৎকোচ নিয়েছিলেন ফেলিক্স। অর্থ নেওয়ার কথা স্বীকার করলেও, ম্যাচ পাতিয়েছেন বলে সরাসরি কোনো প্রমাণ মেলেনি। তাকে উৎকোচ দেওয়া হয়সারকে আজীবনের জন্য ফুটবল থেকে নিষিদ্ধ করে ডিএফবি।

এএইচএস