সেমিফাইনালে একাধিক পরিবর্তন আসবে সেই আভাস আগেই দিয়ে রেখেছিলেন আর্জেন্টিনার কোচ লিওনেল স্কালোনি। আনহেল ডি মারিয়াকে দলে আনা হলো। আর্জেন্টিনা খেললো দুই ফরোয়ার্ড নিয়ে। আসরের সর্বোচ্চ গোলদাতা লাউতারো মার্টিনেজকে বেঞ্চেই রাখলেন। সেই ঝুঁকিটা শেষ পর্যন্ত আলবিসেলেস্তেদের এগিয়েই রেখেছে কোপা আমেরিকার সেমিফাইনালে।

কানাডার বিপক্ষে ম্যাচে পরিবর্তন এনেছিলেন দলের চিরায়ত ফর্মেশনে। স্কালোনির সেই বাজি কাজে লেগেছে। রদ্রিগো ডি পলের দুর্দান্ত এক লং পাস থেকে গোলের দেখা পেলেন আলভারেজ। আর ডানপ্রান্তে ডি মারিয়া এবং লিওনেল মেসির রসায়নটাও জমল বেশ। পুরো ম্যাচে প্রথম ১০ মিনিট বাদ দিলে দুর্দান্ত ফুটবলই উপহার দিয়েছে আলবিসেলেস্তেরা। বল দখলের লড়াইয়ে ৬০ শতাংশ বল ধরে রেখেছিল। গোলমুখে শট নেয়ার বেলাতেও ছিল অনেকটা এগিয়ে। 

ম্যাচের ২৩ মিনিটে আসে আলবিসেলেস্তেদের লিড। মাঝমাঠ থেকে অনেকটা ফাঁকায় আলভারেজের দিকে বল বাড়ান ডি পল। বল পেয়ে এক ডিফেন্ডারকে পাশ কাটিয়ে জালের দেখা পান আর্জেন্টাইন নাম্বার নাইন।

গোলের দেখা পেতে পারতেন লিওনেল মেসিও। দুই গোল যোগ হতে পারত নামের পাশে। তবে গোলবারের বাইরে চলে গেছে তার শট। সেমিফাইনালে এসেও তাই গোলের খাতা খোলা হলো না আর্জেন্টাইন নাম্বার টেনের। যদিও এদিন ডি মারিয়ার উপস্থিতিতেই কিনা মেসিকে দেখাল আরও স্বপ্রতিভ। 

আর্জেন্টিনাকেও অবশ্য রক্ষণে পরীক্ষা দিতে হয়েছে। ম্যাচের শুরুতে একাধিকবার গঞ্জালো মন্তিয়েল, ক্রিশ্চিয়ান রোমেরোর পরীক্ষা নিয়েছে কানাডা। গোলমুখে জোরালো শট নিয়ে আর্জেন্টিনাকে ফেলেছিল বিপাকে। তবে ম্যাচে তাদের বড় সুযোগ আসে ৪৬ মিনিটে। অতিরিক্ত সময়ে গোলের দেখা প্রায় পেয়েই গিয়েছিল দলটি। কিন্তু জোনাথন ডেভিডের শট কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন এমিলিয়ানো মার্তিনেজ।  

বিস্তারিত আসছে...

জেএ