কয়েক ঘণ্টা পরেই অনুষ্ঠিত হবে ইউরো ২০২৪ এর প্রথম সেমিফাইনাল। জার্মানির মিউনিখের বিখ্যাত ফুটবল অ্যারেনা মিউনিখে হবে হাইভোল্টেজ এই ম্যাচ। যেখানে ফ্রান্সের মুখোমুখি হবে জার্মানিকে বিদায় করে দেয়া স্পেন। তবে এই ম্যাচের আগেই নতুন করে শুরু হয়েছে এক বিতর্ক। জার্মানির সঙ্গে কোয়ার্টার ফাইনাল পুনরায় আয়োজন করতে শুরু হয়েছে আবেদন। 

চেইঞ্জ ডট ওআরজি (change.org) ওয়েবসাইটে সাড়ে ৩ লাখের বেশি জার্মান নাগরিক কোয়ার্টার ফাইনালের ম্যাচ পুনরায় আয়োজনের দাবিতে স্বাক্ষর করেছেন। তাদের দাবি, কোয়ার্টার ফাইনালের সেই ম্যাচে ১০৫ মিনিটে পেনাল্টি প্রাপ্য ছিল জার্মানির। কিন্তু ন্যায্য সেই পেনাল্টি থেকে বঞ্চিত হয়েছে তারা। 

সেই সময়ে ম্যাচে ছিল ১-১ গোলের সমতা। পেনাল্টি পেলে সেখানেই এগিয়ে যেতে পারত জার্মানি। ম্যাচের ফলাফলও হতে পারত অন্যরকম। কিন্তু স্পষ্ট এক হ্যান্ডবলকে পেনাল্টির সিদ্ধান্ত সেদিন দেননি ম্যাচের রেফারি অ্যান্থনি টেইলর। অবশ্য এই বিষয়ে উয়েফার ব্যাখ্যাও রয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে, পেনাল্টি বক্সে বল লাগার সময়ে প্রতিপক্ষের হাত বডিলাইনের পেছনে থাকলে তা হ্যান্ডবল হিসেবে গণ্য হবে না। 

তবে উয়েফার এই জটিল নিয়ম মানতে রাজি নন জার্মান নাগরিকরা। তারা আরও একবার এই ম্যাচ আয়োজনের পক্ষে। ওয়েবসাইটে পিটিশনের বর্ণনার ঘরে লেখা হয়েছে, ১০৬ মিনিটে, একটি পরিষ্কার পেনাল্টির আবেদন ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে, যখন মার্ক কুকুরেয়া গোলের একটি সুযোগ তার হাত দিয়ে ঠেকিয়ে দিয়েছিলেন। রেফারি অ্যান্টনি টেইলর ম্যাচ চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছিলেন এবং ভিএআর হস্তক্ষেপ করেনি।’ 

 

‘আর এটি ছিল অনেকগুলো ভুল সিদ্ধান্তের একটি। ম্যাচের ৭৭ মিনিটে নিকলাস ফুলক্রুগকে নাচো ফার্নান্দেজ স্পষ্টত ধরে রেখেছিলেন। সেসময় ফ্লোরিয়ান ভির্টজ একটি ক্রস করেছিলেন, কিন্তু ফুলক্রুগ তখন পড়ে যান আর তাকে গোল করা থেকে বিরত রাখা হয়।’ 

মূলত এসব দাবি তুলেই আরও একবার কোয়ার্টার ফাইনালের ম্যাচ আবার আয়োজনের দাবি তোলা হয় ওই ওয়েবসাইটে। তাতে সাড়াও পড়েছে ব্যাপক। কিন্তু, এমন কিছু হওয়ার সম্ভাবনা একেবারেই নেই। এমনকি ম্যাচ রেফারি বা ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারির বিপক্ষেও আসছে না কোনো সিদ্ধান্ত। জার্মান ফ্যানদের তাই আপাতত হতাশই হতে হচ্ছে। 

জেএ