অনেক জলঘোলা করেই নিজেদের কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচ শেষ করেছে আর্জেন্টিনা। হিউস্টনের এনআরজি স্টেডিয়ামে ইকুয়েডরের বিপক্ষে বেশ কঠিন পরীক্ষাই দিয়েছে লিওনেল মেসির দল। ১-১ গোলে সমতার ম্যাচেও আর্জেন্টিনার সেই দাপুটে ভাব দেখা যায়নি। ইকুয়েডরের লং বলের বিপক্ষে বারবারই ভুগেছে আর্জেন্টিনার ডিফেন্স লাইন। 

কিন্তু সেখান থেকে ঠিকই জয় পেলো আর্জেন্টিনা। টাইব্রেকারে যাওয়া ম্যাচে এমি মার্টিনেজ আরও একবার আর্জেন্টিনার ত্রাতা। আরও একবার আকাশী নীল আর সাদার পতাকা উড়োল আর্জেন্টাইন গোলরক্ষকের কল্যাণে। লিওনেল মেসির প্যানেনকা শটের ব্যর্থতাটুকু ঢেকে দিলেন এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। 

সেমিফাইনালে আর্জেন্টিনা। শিরোপা ধরে রাখা আর এককভাবে কোপা আমেরিকার সর্বোচ্চ শিরোপাজয়ের হাতছানি। সেমিফাইনালে তাদের সামনে কারা? মহাদেশীয় প্রতিপক্ষ ভেনেজুয়েলা নাকি উত্তর আমেরিকার গতিশীল ফুটবলের ধারক কানাডা? 

আগামীকাল ভোরে কোপা আমেরিকার দ্বিতীয় কোয়ার্টার ফাইনালে মুখোমুখি হবে ভেনেজুয়েলা এবং কানাডা। গ্রুপপর্বে কানাডার মুখোমুখি হয়েছিল আর্জেন্টিনা। সেই ম্যাচে জয় পেলেও আর্জেন্টিনাকে নিজেদের গতিশীল ফুটবলে ভুগিয়েছিল কানাডা। হাই লাইন ডিফেন্সের কাছে একাধিকবার আটকেছিলেন আর্জেন্টিনার অ্যাটাকাররা।

ভেনেজুয়েলা আছে র‍্যাঙ্কিংয়ের ৫৪তম স্থানে। তবে সাম্প্রতিক রেকর্ড যে কাউকে ঈর্ষার মাঝে ফেলবে। ২০২৩ সাল থেকে ১৬ ম্যাচ খেলে মোটে ৩ ম্যাচে হারের মুখ দেখেছে তারা। সেই তিন ম্যাচের দুইবার প্রতিপক্ষ ছিল কলম্বিয়া আর একবার তারা হেরে যায় ইতালির কাছে। ভেনেজুয়েলা অবশ্য আর্জেন্টিনার জন্য অচেনা প্রতিপক্ষ নয়। একই মহাদেশের হওয়ার সুবাদে বেশ চেনা একে অন্যের কাছে। 

৬ জুলাইয়ের এই কোয়ার্টারের পর কোপা আমেরিকায় বাকি থাকবে আরও দুই কোয়ার্টার ফাইনাল। ৭ তারিখের সেই দুই ম্যাচে মুখোমুখি হবে উরুগুয়ে ব্রাজিল এবং কলম্বিয়া-পানামা। 

সেমিফাইনালে আর্জেন্টিনার ম্যাচ আগামী ১০ তারিখ সকাল ৬টায়। অপর সেমিফাইনাল মাঠে গড়াবে আগামী ১১ জুলাই। আর লাতিন শ্রেষ্ঠত্বের আসরের ফাইনাল আগামী ১৫ জুলাই। 

জেএ